বিমা শিল্প অনিয়ম ও ফাঁকিতে দক্ষ
দেশের বিমা শিল্প অনিয়ম ও ফাঁকি বাজিতে অত্যন্ত দক্ষ। এই দক্ষতাকে উল্টিয়ে দিলেই এ শিল্পে পরিবর্তন করা যায় বলে জানিয়েছে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর দিলকুশা বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ) এর নতুন কার্যালয় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘বর্তমান সরকার দুইটি সেক্টরে ব্যাপক পরিবর্তন এনেছে। এর মধ্যে বিমা শিল্প পরিবর্তনে ২০১০ সালে বিমা আইন করেছে এবং ২০১১ সালে আইডিআরএ প্রতিষ্ঠা করেছে। এসব কারণে বিমা শিল্পের ব্যাপক উন্নতি হয়েছে।’
মন্ত্রী আরো বলেন, ‘নতুন প্রতিষ্ঠানে কার্যক্রম চালাতে অনেক অসুবিধা হয়। আইডিআরএ ও অনেক অসুবিধা গেছে। এখানে অনেক চেয়ার হয়েছে। তবে এসব চেয়ার অচিরেই পূরন করা হবে। এ শিল্পের উন্নয়নে ইতোমধ্যে আইডিআরএর ১৩টি প্রবিধান পাশ করে দিয়েছি। এছাড়া আরও ৫/৭ টি আমার মন্ত্রনালয়ে রয়েছে। গিগগিরই এগুলো পাশ করে দেয়া হবে।’
বীমা শিল্পে আরও দুটি জিনিস প্রয়োজন। এর একটি হচ্ছে দক্ষতা। অপরটি হচ্ছে ইন্স্যুরেন্স একাডেমিকে শক্তিশালী করা। তবে ইন্স্যুরেন্স একাডেমিকে শক্তিশালি করতে পারলে দক্ষ জনবল তৈরী হবে বলে জানান অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত।
মুহিত বলেন, ‘২০০৯ সাল পর্যন্ত শেয়ার বাজার নিয়ন্ত্রনে সিকিউরিটিজ এক্সচেঞ্জের তেমন ভূমিকা ছিল না। বর্তমান সরকার ২০১০ সালে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনকে পুনর্গঠন করেছে। এর ফলে শেয়ার বাজারে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা ফিরে এসেছে। তবে শেয়ার বাজার ওঠানামা করবে এটাই স্বাভাবিক। এতে ভয়ের কিছু নেই। পৃথিবীর সব দেশের এমনটি হয়ে থাকে।’
আইডিআরএ চেয়ারম্যান এম শেফাক আহমেদ এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন অর্থ প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব ড. এম আসলাম আলম, বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স অ্যাসোসিয়েশন (বিআইএ) সভাপতি শেখ কবির হোসেন, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান খায়রুল হোসেন ছাড়াও বিমা খাতের বিশ্লেষকরা।
মন্তব্য চালু নেই