বিমান বিধ্বস্তের পরও জীবিত শিশু

যুক্তরাষ্ট্রের কেন্টাকি অঙ্গরাজ্যে এক বিমান বিধ্বস্ত হয়ে এর সব আরোহী নিহত হলেও বেঁচে গেছে সাত বছরের এক শিশু । এমনকি কন্যাশিশুটির শরীরে গুরুতর জখমের চিহ্নও পাওয়া যায়নি। বিমান বিধ্বস্তস্থল থেকে মানুষকে জিজ্ঞাসা করতে করতে নিজের বাড়ির উদ্দেশে হাঁটাও শুরু করে সে।

শনিবার স্থানীয় মার্কিন পুলিশ এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। পরে বিমানটির ধ্বংসাবশেষ ও চারজন আরোহীর মৃতদেহ ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। শিশুটি গুরুতর কোনো জখমের চিহ্ন খুঁজে পাওয়া যায়নি। কিন্তু তার পরও তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা এপি জানিয়েছে, শুক্রবার রাতে পিপার পিএ-৩৪ নামের বিমানটির পাইলট ইঞ্জিনে সমস্যার কথা জানানোর পর নিয়ন্ত্রণকক্ষ থেকে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।

যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার ৩০ মিনিট পর বিমানটি বিধ্বস্ত হয়। এরপর সেখান থেকে নিজেই বের হয়ে নিজ বাড়ির উদ্দেশে রওনা দেয় শিশু। বিমান বিধ্বস্তের বিষয়টি নিকটবর্তী কেন্টাকির লায়ন কাউন্টির এক বাসিন্দাকে জানায় সে। এরপর পুলিশকে খবর দেন ওই বাসিন্দা।

কেন্টাকি অঙ্গরাজ্যের পুলিশ ডিন পেটারসন এপিকে বলেন, ‘শিশুটি বিধ্বস্ত বিমানের ধ্বংসাবশেষের মধ্য থেকে নিজেই বের হয়ে আসে এবং নিকটস্থ এক বাসিন্দাকে বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার কথা জানায়। তার বেঁচে যাওয়া সত্যিই অবিশ্বাস্য ঘটনা। কিন্তু চারজন আরোহী মারা যাওয়ায় এটি একটি ট্র্যাজেডি।’

পেটারসন বলেন, বিমানটি ফ্লোরিডা থেকে ইলিনয় যাচ্ছিল। কিন্তু কেন্টাকির এক হ্রদের নিকট বনাঞ্চল এলাকায় বিধ্বস্ত হয় বিমানটি। বিমানের নিহত যাত্রী ও শিশুটির মধ্যে সম্পর্ক কী, তা তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।

তথ্যসূত্র : বিবিসি, টেলিগ্রাফ, এবিসি নিউজ।



মন্তব্য চালু নেই