বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে চীনের সঙ্গে চুক্তি

কক্সবাজারের মহেশখালীতে চীনের সঙ্গে যৌথ মালিকানায় কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে সমঝোতা চুক্তি সই করা হয়েছে।

মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর বিদ্যুৎ ভবনে চায়না হুয়াডিয়ান হংকং কোম্পানি লিমিডেটের সঙ্গে বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ডের (বিপিডিবি) এ চুক্তি সই হয়।

চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন বিপিডিবির চেয়ারম্যান আব্দুহু রুহুল্লাহ ও হুয়াডিয়ান হংকং কোম্পানি লিমিডেটের চেয়ারম্যান চ্যং ইয়াং গাং।

বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব মনোয়ার ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী, বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী। অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্টদূত লি জুঁ, চায়না হুয়াদিয়ান কোম্পানি লিমিটেডের প্রেসিডেন্ট, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রমুখ।

কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার হোয়ানক ইউনিয়নে নির্মাণ, মালিকানা এবং পরিচালনা মডেলের ভিত্তিতে নির্মিতব্য ‘১৩২০ মেগাওয়াট কয়লাভিত্তিক থারমাল পাওয়ার প্ল্যান্ট’টি ২০১৯ সালের মধ্যে শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। এতে কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহৃত কয়লা ইন্দোনেশিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, অস্ট্রেলিয়া ও মোজাম্বিক হতে সমুদ্র পথে আমদানি করা হবে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ বলেন, উন্নয়নের ঊর্ধ্বমুখী ধারা অব্যাহত রাখতে বিদ্যুৎ উৎপাদনের মতো অবকাঠামো পূর্ণাঙ্গ রূপে তৈরি করা খুবই জরুরি।

তিনি বলেন, ২০৩০ সালের মধ্যে বিদ্যুতের চাহিদা হবে ৩৪ হাজার মেগাওয়াট। বিদ্যুৎ উৎপাদনের চলমান প্রক্রিয়ায় বর্তমান সরকার ৩৯ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের পরিকল্পনা নিয়েছে। প্রাকৃতিক গ্যাসের স্বল্পতায় বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য কয়লা, তরলীকৃত গ্যাস, সৌর ও পরমাণু শক্তি ইত্যাদি বিকল্প উৎসের অন্বেষণ করা হচ্ছে।

তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী বলেন, সরকার কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্প গ্রহণ করলেও পরিবেশ রক্ষায় সচেতন এবং এক্ষেত্রে জাতীয় ও আর্ন্তজাতিক দাবির প্রতি শ্রদ্ধাশীল।

তিনি বর্তমান প্রকল্পের জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে চীন সরকারকে পরবর্তী তিন বছরের মধ্যে বাংলাদেশে আরও ১টি বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের অনুরোধ জানান।

বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্টদূত লি জুঁ বলেন, বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যকার বন্ধুত্বপূর্ণ সর্ম্পকের ক্ষেত্রে সমঝোতা স্মারক আরেকটি মাইলফলক।



মন্তব্য চালু নেই