‘বিদেশিদের হত্যা করতেই থাইল্যান্ডে হামলা’
থাইল্যান্ডের প্রতিরক্ষামন্ত্রী প্রাউইত ওঙসুয়ান বলেছেন, ব্যাংককের মন্দিরে যারা হামলা চালিয়েছে, তাদের লক্ষ্য ছিল বিদেশিদের হত্যা করা এবং পর্যটন ও অর্থনীতি ধ্বংস করা।
তিনি আরো বলেন, সোমবার ব্যাংককে হামলায় নিহত হয়েছে ২১ জন এবং আহত হয়েছে ১২০ জন। হামলাকারীদের ধরতে বিশেষ অভিযান শুরু হয়েছে।
ইরাওয়ান মন্দির ব্যাংককের অন্যতম প্রধান পর্যটন আকর্ষণ। প্রতিদিন হাজারো পর্যটকের সমাগম হয় এখানে। হিন্দু মন্দির হলেও অসংখ্য বৌদ্ধ মন্দিরটি পরিদর্শনে আসেন। সোমবার যখন হামলা হয়, তখন এখানে পর্যটকদের ভিড় ছিল।
ওঙসুয়ান বলেন, এই হামলার লক্ষ্য ছিল ‘বিদেশি পর্যটকরা..পর্যটন খাত ও অর্থনীতি ধ্বংস করা।
থাইল্যান্ডের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের তথ্য অনুযায়ী, থাই প্রধানমন্ত্রী প্রায়ুথ চান ওচা বলেছেন, হামলার পরিপ্রেক্ষিতে ‘ওয়ার রুম’ খোলা হয়েছে, যার কাজ হবে হামলাকারীদের ধরা এবং সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান পরিচালনা করা।
থাইল্যান্ডের জাতীয় পুলিশের প্রধান সোমায়োত পোমপুমুয়াং জানিয়েছেন, ‘পাইপ বোমা’ ব্যবহার করে হামলা চালানো হয়েছে। মন্দিরের মধ্যে এটি পেতে রাখা হয়। এই পাইপ বোমায় ৩ কিলোগ্রাম টিএনটি (ট্রাইনাইট্রোটলুইন) ব্যবহার করা হয়েছে। টিএনটি শক্তিশালী বিস্ফোরক দ্রব্য।
ব্যাংকক পুলিশ জানিয়েছে, হামলায় ১০ জন থাই নাগরিক নিহত হয়েছে। দুজন চীনা ও একজন ফিলিপিনো নিহত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে। বাকিদের পরিচয় এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
এদিকে পর্যটননির্ভর অর্থনীতির দেশ থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে এই হামলা পর্যটকদের মধ্যে উদ্বেগ তৈরি করেছে। এ ছাড়া দেশটিতে এখন সামরিক শাসন চলছে। প্রধানমন্ত্রী ইংলাক সিনাওয়াত্রাকে ক্ষমতাচ্যুত করে শাসনক্ষমতা দখলে নেয় সেনাবাহিনী।
মন্তব্য চালু নেই