বাসের চাকায় পিষে অটোরিকশাচলককে হত্যা!

রাজধানীর উত্তরায় এক বাস চালকের বিরুদ্ধে ইচ্ছাকৃতভাবে চাকায় পিস্ট করে এক সিএনজি আটোরিকশা চালককে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

মঙ্গলবার রাজধানীর উত্তরা এলাকায় এই ঘটনাটি ঘটে। নিহত অটোচালকের নাম মো. ফারুক (৪২)। অভিযুক্ত বাসচালক আবদুল মজিদকে (২৭) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

এ ঘটনায় নিহতের ভাই হারুন বাদি হয়ে মঙ্গলবার রাতে উত্তরা থানায় হত্যা মামলা করেছেন। পুলিশ কর্মকর্তা ও নিহতের স্বজনরা বলছেন, সিএনজি অটোরিকশার পেছনে ধাক্কা দেওয়ার প্রতিবাদ করায় ফের সজোরে ধাক্কা দেন চালক মজিদ। এতে আটোরিকশাসহ ছিটকে পরে প্রাণ হারান ফারুক।

জানা গেছে, ফারুকের গ্রামের বাড়ি ভোলার চরফ্যাশনের ওসমানগঞ্জে। তিনি রাজধানীর মুগদায় স্ত্রী ও তিন শিশুসন্তান নিয়ে বসবাস করতেন।

উত্তরা পশ্চিম থানার ওসি মো. আলী হোসেন বাংলামেইলকে জানান, মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মোহাম্মদপুর থেকে আব্দুল্লাহপুরগামী তেতুলিয়া পরিবহনের যাত্রীবাহী বাস (ঢাকা মেটো-ব-১১-৭৪৮৯) উত্তরার জসীমউদ্দীন রোডে একটি সিএনজি অটোরিকশাকে ধাক্কা দেয়। এতে চালক প্রতিবাদ করতে অটোরিকশাচালক ওই বাসের সামনে গিয়ে দাঁড়ান এবং ক্ষতিপূরণ দাবি করেন। শুরু হয় দু’পক্ষের বাকবিতণ্ডা। একপর্যায়ে অটোরিকশা চালকের শরীরের ওপর বাস তুলে দেয় চালক। এতে চালক ফারুকের মাথা চূর্ণবিচূর্ণ হয়ে পড়ে। চালক মজিদ বাস নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে উত্তরা পশ্চিম থানার ওসি ওয়্যারলেস সেটে হাউস বিল্ডিংয়ের আমির কমপ্লেক্সের সামনে পুলিশ চেকপোস্টের সদস্যদের সতর্ক করেন। তারা বাসসহ মজিদকে আটক করেন।

ওসি আরও জানান, চালক মজিদের কোনো ড্রাইভিং লাইসেন্স নেই। বাসটির মালিক মজিদের বাবা মোখলেছ মিয়া।
নিহত ফারুকের ভাই হারুন বলেন, ‘আমার ভাইকে ইচ্ছাকৃতভাবে চাকা দিয়ে পিষে হত্যা করেছে। আমি এই হত্যার বিচার চাই।’



মন্তব্য চালু নেই