ভাঙ্গায় সড়ক দুর্ঘটনা

বাসচালকের দাবি ‘ডাকাত’ পড়েছিল

ফরিদপুর জেলার ভাঙ্গায় দুর্ঘটনাকবলিত সোনারতরী পরিবহণের আহত চালক মো. জাকির হোসেন দাবি করেছেন দুর্ঘটনার আগে ডাকাতের কবলে পড়েছিল বাসটি।

আহত অবস্থায় জাকির ও বাসটির হেলপার মো. মন্টু খানকে বরিশাল শের-ই-বাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সেখানেই সাংবাদিকদের কাছে বাসে ডাকাতির কথা জানান তিনি।

বুধবার রাত পৌঁনে ৪ চারটায় এই দুইজনকে ভর্তি করা হয়েছে বলে জরুরি বিভাগের রেজিস্ট্রারে লেখা রয়েছে।

আহত চালক মো. জাকির হোসেন (৪০) পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়া উপজেলার রহমতপুর নীলগঞ্জ গ্রামের জয়নাল আবেদিন হাওলাদারের ছেলে। চালকের সহযোগী মো. মন্টু খান (৪২) ঝালকাঠি জেলার নলছিটি উপজেলার রায়াপুর গ্রামের মো. কাশেম আলী খানের ছেলে।

চালক জাকির হোসেন দাবি করেন, সোনারতরী পরিবহনের (ঢাকা মেট্রো-ব-১৪৭০৭৪) গাড়িটি নিয়ে বুধবার রাত ৯টায় রাজধানীর গাবতলী থেকে পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়া উপজেলার উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেন। পথিমধ্যে ভাঙ্গা উপজেলার কৈডুবি নামক স্থানে যাত্রীবেশী এক ডাকাত তাকে ছুরিকাঘাত করে গাড়ির স্টিয়ারিং কেড়ে নেয়। ঘটনার দুই মিনিটের মাথায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাড়িটি সড়কের পাশে একটি গাছের সাথে আঘাত করে। এরপর কি হয়েছে এ বিষয়ে আর কিছু বলতে পারেন না তিনি।

শেবাচিম হাসপাতালের কর্তব্যরত ওয়ার্ডমাস্টার মো. আবুল কালাম জানান, এখানে ভর্তি হওয়া চালক ও তার সহযোগীর শরীরে জখমের চিহ্ন রয়েছে, তবে গুরুতর নয়। তাদেরকে সার্জারি বিভাগে ভর্তি করা হয়েছে।

কোতয়ালী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. শাখায়াত হোসেন জানান, হাসপাতালে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। ভাঙ্গা এলাকার পুলিশের কাছ থেকে কোনো বার্তা না আসায় আহত চালক ও তার সহযোগীকে গ্রেফতারের বিষয়ে আপাতত তারা কোনো পদক্ষেপ নিতে পারছেন না।

আরো পড়ুন :

ফরিদপুরে গাছের সঙ্গে বাসের ধাক্কায় নিহত ২৪



মন্তব্য চালু নেই