বার কাউন্সিল নির্বাচন বাতিলের আহ্বান

অনিয়ম, কারচুপি ও অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলমের পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ এনে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি বার কাউন্সিল নির্বাচন বাতিলের আহ্বান জানানো হয়েছে।

সোমবার সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি ভবনের শহীদ শফিউর রহমান মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ আহবান জানান বিএনপি সমর্থিত আইজীবীদের প্যানেল।

সুপ্রিম কোর্ট বারের সম্পাদক ও নীল প্যানেলের সাধারণ আসনের প্রার্থী ব্যারিস্টার মাহবুব হোসেন খোকন সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন। এ সময় বার কাউন্সিল নির্বাচনে অংশ নেয়া আরো দুইজন প্রার্থী অ্যাডভোকেট সানাউল্লাহ মিয়া ও অ্যাডভোকেট মহসিন মিয়া উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে খোকন অভিযোগ করে বলেন, বার কাউন্সিলের নির্বাচনে অনিয়ম ও যোগ সাজসের সমন্বয় করেছেন বিজ্ঞ অ্যাটর্নি জেনারেল কার‌্যালয় ও বিভিন্ন জেলার পিপি।

তিনি বলেন, অ্যাটর্নি জেনারেলের যোগ সাজসে ১৫৯৭ জন ভোটারকে তালিকা থেকে বাদ দেয়া হয়েছে। যাহা সম্পূর্ন বেআইনী। তিনি বলেন, এ ভোটারদেরকে ইচ্ছাকৃতভাবে বাদ দেয়া হয়েছে।

খোকন বলেন, আমরা বাদ যাওয়া ঐ আইনজীবীদেরকে ভোটার হিসেবে অন্তর্ভক্ত করার অনুরোধ করেছি। কিন্তু তিনি আমাদের কথা রাখেননি। তিনি আরো অভিযোগ করে বলেন, সুপ্রিমকোর্টের ৫০০৪ জন আইনজীবীর মধ্যে ১৩৪২ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেন নি।

এগুলো শুধু মাত্র আওয়ামী লীগ সমর্থিত আইনজীবীদের (সাদা প্যানেল) কে জেতাতে এ অনিয়ম করেছেন। সংবাদ সম্মেলনে আরো অভিযোগ করা হয় তালিকাভুক্ত ৭৪১৭ জন আইনজীবী তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ না করতে পেরে অপমানিত হয়েছেন, যা বার কাউন্সিলের ইতিহাসে এক নজীর বিহীণ ঘটনা।
অবিলম্বের এ নির্বাচন বাতিল করার আজহবান জানানো হয় সংবাদ সম্মেলনে।

বিএনপিপন্থী আইনজীবীদের এসব অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীণ মন্তব্য করে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, বার কাউন্সিল নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে। এখানে অনিয়মের কোনা সুযোগ নেই মন্তব্য করে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, নির্বাচনের ব্যাপারে কোনো ভোট কেন্দ্র থেকে অভিযোগ আসেনি।

তিনি বলেন, কার নির্দেশে এসব কথা বলা হচ্ছে। নির্বাচনের পাঁচ দিন পর কেন আপনার নির্বাচন নিয়ে মন্তব্য করছেন? এতোদিন কোথায় ছিলেন? চুপ ছিলেন কেন? বলেন সরকারের এই প্রধান আইন কর্মকর্তা।

তিনি বলেন, বিএনপি পন্থি আইনজীবীদের নীল প্যানেলে প্রধান নেতা খন্দকার মাহবুব নির্বাচন মেনে নিয়েছেন। নির্বাচন না মানলে তিনি প্রেস কনফারেন্স বক্তব্য রাখতেন উপস্থিত থাকতেন।

তিনি বলেন, নির্বাচনের ১৫ দিন আগে ভোটার তালিকা প্রননয়ন করে বার কাউন্সিলের ওয়েব সাউডে প্রকাশ করা হয়েছে। এখন তারা অভিযোগ করচেন তা মিথ্যা।



মন্তব্য চালু নেই