বাবা যেখানে চা বিক্রেতা, সেই কোর্টেই বিচারক হলেন মেয়ে
ভারতের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও একসময় চা বিক্রি করতেন। তাছাড়া বাবা কষ্ট শ্রমিক, কুলি, মজুর সন্তান বড় অফিসার সিনেমার পর্দায় এমনটা প্রায়ই দেখা যায়। বাস্তবেও এমন ঘটনা কম নয়।
এবার ভারতের পাঞ্জাবে এক চা বিক্রেতার মেয়ে আদালতের বিচারক হলেন। এতে অবাক করার কিছু নেই তাইতো? আসলে ভাগ্যের পরিহাসে সেই মেয়ে বিচারক হিসাবে নিয়োগ পেয়েছেন সেই আদালতে যেখানে তার বাবা চা বিক্রি করেন। ভারতীয় বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদে জানা গেছে, পাঞ্জাবের জলন্ধরের এক আদালত চত্বরে চা বিক্রি করে সংসার চালানো ওই ভাগ্যবান পিতা হলেন সুরেন্দ্র কুমার নামের এক ব্যক্তি।
গণমাধ্যমগুলো লিখেছে, সুরেন্দ্রর মেয়ে শ্রুতি পড়াশোনায় শুরু থেকেই ভাল ছিল। বছর ২৩-এর শ্রুতি প্রথম বারেই পাশ করেছেন পাঞ্জাব সিভিল সার্ভিস(জুডিসিয়াল) পরীক্ষা। এরপর একবছর ট্রেনিং-এর পর এখন পঞ্জাবের জলন্ধরে নাকোদার শহরের সাব-ডিভিশনার ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টের বিচারকের পদে নিযুক্ত হলেন। এসসি ক্যাটাগরিতে প্রথম হয়েছেন শ্রুতি।
মেয়ের বিচারক হওয়ার খবরে বাবার চোখে বইছে আনন্দ অশ্রু। তিনি বলেছেন, ‘এই দিনটার অপেক্ষাতেই ছিলাম। বিশ্বাস ও এরকম একটা কিছু করবে।’ কথাটা বলতে বলতে কেঁদে ফেলেন। আর মেয়ে শ্রুতি বলেছেন, ‘আমার কাজটা সহজ ছিল না ঠিকই। কিন্তু বাবাকে চা বিক্রি করতে দেখে জেদটা চেপে গিয়েছিল। সেই জেদটার জন্যই হয়তো স্বপ্নের চাকরিটা নিতে পেরেছি।’
তিনি আরো বলেন, ‘আমি সবসময়ই চাইতাম কোনো আইনি পেশার সঙ্গে যুক্ত হতে। বিশেষত চাইতাম বিচারক হতে। তাই এই পরীক্ষায় বসা এবং প্রথমবারেই সাফল্য।’
এ সাফল্যের পর শ্রুতিকে নিয়ে রাজ্যজুড়ে শুরু হয়েছে উচ্ছ্বাস, সংবর্ধনা অনুষ্ঠান। হবেই বা না কেন, নারীর ক্ষমতায়ন বাড়াতে একযোগে কাজ চলছে ভারত জুড়ে। এসময় এমন শুভ একটি সংবাদ, নিশ্চয়ই অন্যদের অনুপ্রাণিত করবে।
মন্তব্য চালু নেই