বানর প্রেমিকযুগলের মহা ধুমধামে বিয়ে!
হনুমানকে দেবতা ভাবেন সনাতন ধর্মের লোকেরা। দৈহিক আকৃতি হনুমানের মতো হওয়ায় বানরকেও শ্রদ্ধার দৃষ্টিতে দেখেন, পূজাও করেন তারা। কিন্তু এবার এক বানরযুগলকে বিয়েই দিয়ে দিলেন ভারতের উত্তরাঞ্চীয় প্রদেশ বিহারের বাসিন্দারা।
প্রায় দুই শতাধিক গ্রামবাসী মহা ধুমধামে বানর দুটির বিয়ের আয়োজন করেন। হিন্দু রীতিনীতি মেনে এ বিয়ের কাজ সম্পন্ন করা হয়। খাওয়ানো হয় লোকদের। বাদ্য বাজানো থেকে শুরু করে বিয়ের সমস্ত আনুষ্ঠানিকতা শেষ করা হয়।
সোমবার বিহারের বেতিয়াহ জেলায় এ ঘটনা ঘটে। পুরুষ বর বানরকে হলুদ টি-শার্ট ও কনেকে কমলা রঙের গাউন পরানো হয়।
১৩ বছর বয়স্ক পুরুষ বানরের নাম রামু আর নারী কনে বানরের নাম রামদুলারির বিয়েতে শোভাযাত্রা আয়োজন করা হয়। এ সময় ফুল ছিটানো হয়, নাচ ও গানের আয়োজনও করা হয় জাঁকজমকপূর্ণভাবে। শোভাযাত্রার সময় রাস্তার দুই পাশে শত শত মানুষ দাঁড়িয়ে থেকে এ বানরযুগলকে অভ্যুর্থনা জানান।
বানরের বিয়ের আয়োজকরা জানান, নিজের ছেলে বা মেয়ের বিয়ে মনে করেই এ আয়োজন করেছে তারা।
বিয়ের আয়োজক উদেশ মাহাতু বলেন, ‘আমার তিন সন্তান রয়েছে। রামু আমার বড় ছেলের মতো। আমি তাকে প্রথমে বিয়ে দিতে চেয়েছিলাম। তাই দিয়েছি।’
মাহাতু সাত বছর আগে নেপাল থেকে রামুকে আনেন। পরে একটি গ্রামের মেলা থেকে রামদুলারিকে কিনে আনেন তিনি।
মাহাতু বলেন, ‘প্রথমে তারা একে অন্যের সঙ্গে মিশত না। কিন্তু পরে তারা বেশ বন্ধুত্ব গড়ে তোলে। তাই আমরা তাদের বিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিই।’
স্থানীয় পুরোহিত সুনীল শাস্ত্রী তাদের বিয়ে পড়ান। তিনি বলেন, ‘প্রথমে আমি বানরের বিয়ে পড়ানো নিয়ে দুশ্চিন্তায় ও দ্বিধাদ্বন্দ্বে ছিলাম। কিন্তু পরে দেখলাম মাহাতু এ ব্যাপারে বেশ সিরিয়াস। আর তখনই ব্যতিক্রমধর্মী এ বিয়ে পড়ানোর কাজ শুরু করি আমি।’
এ বিয়েতে আমন্ত্রণপত্র ও গানের দল ভাড়া করা হয়। উপস্থিত অতিথিদের আপ্যায়নের সুবিধার জন্য কর্মী নিয়োগও করা হয়।
২০০৮ সালে ভারতের ওডিশা রাজ্যে এ রকম আরেক বানরযুগলের বিয়ে অনুষ্ঠিত হয়।
তথ্যসূত্র : বিবিসি।
মন্তব্য চালু নেই