বাধাগ্রস্ত হতে পারে শাহবাগ এলাকার মোবাইল সেবা!
মোবাইল অপারেটরদের স্থাপিত বেজ ট্রান্সসিভার স্টেশনের (বিটিএস) ভাড়া বাবদ অতিরিক্ত অর্থ দাবি করেছে বারডেম জেনারেল হাসপাতাল। ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিমকে সম্প্রতি লেখা এক চিঠিতে এমন দাবি জানিয়েছে মোবাইল অপারেটরদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব মোবাইল টেলিকম অপারেটরস অব বাংলাদেশ (অ্যামটব)।
তারা বলছে, শাহবাগ ও এর পার্শ্ববর্তী এলাকার নেটওয়ার্ক কাভারেজের জন্য বারডেম হাসপাতাল এলাকায় বিটিএস রয়েছে। এজন্য অপারেটররা বারডেম কর্তৃপক্ষকে নির্দিষ্ট পরিমাণ ভাড়া পরিশোধ করে আসছে। সম্প্রতি চুক্তি নবায়ন করার সময় বারডেম কর্তৃপক্ষ অপারেটর প্রতি ৫০ লাখ টাকা করে দাবি করেছে, যেটা অতিরিক্ত বলে দাবি করছে অ্যামটব।
তাদের দাবি, অপারেটররা বিদ্যমান ভাড়ার চেয়ে পাঁচ গুণ বেশি অর্থ দিতে চাইলেও বারডেম কর্তৃপক্ষ তা মানতে চাইছে না। তারা বলছে, দাবিকৃত অর্থ দেয়া না হলে তাদের এলাকা থেকে নেটওয়ার্ক স্থাপনা সরিয়ে নিতে হবে।
অ্যামটব চিঠিতে জানিয়েছে, এই বিটিএসগুলোর মাধ্যমে শাহবাগ, জাতীয় যাদুঘর, ঢাকা বিশ্ববিদ্যারয়ের একাংশ. বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতাল, পরীবাগ, রমনা ভিআইপি এলাকা, মগবাজারের একাংশে মোবাইল সেবা দেয়া হয়। বারডেম থেকে স্থাপনা সরিয়ে নিলে এসব এলাকার মোবাইল সেবা বাধাগ্রস্ত হবে। তাই এ সমস্যার সমাধানে প্রতিমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চেয়েছে অ্যামটব।
এ প্রসঙ্গে অ্যামটবের সেক্রেটারি টিআই নুরুল কবির বলেন, ‘বারডেমে চারটি বিটিএস রয়েছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সেগুলো নবায়ন করতে সমস্যা হচ্ছে। তাই আমরা সরকারের সহযোগিতা চেয়েছি।’
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ সরকার প্রদত্ত জমিতে সরকারি অর্থানুকূল্যে ১৯৮০ সালে চালু বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতির এই কেন্দ্রীয় প্রতিষ্ঠানটি তিনটি বৃহৎ ভবনে অবস্থিত। আর সেই ভবনগুলোর ছাদেই বসানো হয়েছে বিভিন্ন মোবাইল কোম্পানির বেজ ট্রান্সসিভার স্টেশন।
মন্তব্য চালু নেই