বাংলাদেশের প্রধানতম মানবাধিকার সঙ্কট ‘বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড’

সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে মানবাধিকারের সার্বিক অবস্থান বিচারে নিজস্ব জরীপের ভিত্তিতে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে বাংলাদেশে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের ঘটনা সবচেয়ে গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘন।

এছাড়াও রয়েছে সংবাদবাদপত্রের স্বাধীনতা হরণ, অনলাইনে মত প্রকাশের স্বাধীনতায় সহিংস হস্তক্ষেপ, দুর্বলতম শ্রমিক অধিকার এবং নিম্নমানের কর্মপরিবেশের মতো নিয়ামক, যেগুলো মানাবধিকার পরিস্থিতিকে আরও নাজুক করে তুলছে।

এই প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে ২০১৪ সালের তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে। উপস্থাপন করেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি। বাংলাদেশকেন্দ্রিক মানবাধিকার পরিস্থিতি ছাড়াও অপরাপর সংবেদনশীল সময়যাপনকারী রাষ্ট্রের পরিস্থিতিও পর্যক্ষেণের আওতায় আনা হয়।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশকে একটি ধর্মনিরপেক্ষ, গণতান্ত্রিক এবং প্রগতিশীল নাগরিকদের দেশ হিসেবে উল্লেখ করে তবেই প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে দেশটি।

মার্কিন মানাবধিকার প্রতিবেদনে বিগত সংসদীয় নির্বাচন, রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের নির্বাচন বর্জন এবং পরবর্তীকালেরি সহিংস রাজনৈতিক কর্মসূচীর কথা বিশেষভাবে উল্লেখ করা হয়েছে।

আরও উল্লিখিত হয়েছে বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের ধারাবাহিকতায় সংঘটিত গুম, সাংবাদিক ও সংবাদপত্রের ওপর হামলা ও অন্তর্জালে মত প্রকাশেস স্বাধীনতায় সহিংস হস্তক্ষেপের কথা। শেষোক্ত ক্ষেত্রে একাধিক বিবরণসহ বর্ণিত হয়েছে সার্বিক পরিস্থিতি।

মানবাধিকার সংক্রান্ত এ প্রতিবেদন প্রকাশের পর সাংবাদিক সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী টম ম্যালিনস্কি। জাতীয় নির্বাচন ও সহিংসতা ইস্যু নিয়ে সাংবাদিকরা প্রশ্ন রাখেন। ম্যালিনস্কি জানান, বাংলাদেশ সংবেদনশীল সকল বিষয়সহ সকল মহলের সঙ্গে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর যোগাযোগ রাখছে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি সন্ত্রাসবাদ ও সহিংসতাকে বর্তমানে পৃথিবীতে মানবাধিকারের সবচেয়ে বড়ড় শত্রু বলে মনে করছেন। তিনি মনে করেন, একটি দেশের নাগরিকরা যথন সকল অধিকার সার্বিক ইতিবাচকতায় ভোগ করতে পারে, তখনই দেশটি ভালো থাকে, অন্যথায় নয়।



মন্তব্য চালু নেই