বরিশালে মৃত্যুর সাথে লড়ছে প্রেমিকা

প্রেমিক ও তার মা জোরপূর্বক অবৈধভাবে প্রেমিকার গর্ভের সন্তান নস্ট করতে গিয়ে এখন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন প্রেমিকা তুলি রানী শীল (১৯)। গত দু’দিন থেকে পিতৃ-মাতৃহীন তুলি বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালের গাইনী বিভাগে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

সোমবার সকালে হাসপাতালে শষ্যাশয়ী গৌরনদী উপজেলার নলচিড়া ইউনিয়নের বদরপুর গ্রামের জীবন চন্দ্র শীলের কন্যা অসহায় তুলি রানী শীল জানান, দাম্পত্য কলহের জেরধরে সম্প্রতি তার বাবা-মায়ের সম্পর্কের বিচ্ছেদ ঘটে। এতে সে অসহায় হয়ে পরে। পরবর্তীতে একই গ্রামের নিকট আত্মীয় চিত্ত রঞ্জন শীলের বাড়িতে সে (তুলি) আশ্রয় নেয়।

এ সুযোগে চিত্ত রঞ্জনের পুত্র বার্থী বাসষ্ট্যান্ডের একটি ঔষধের ফার্মেসীতে কর্মরত অভিজিত চন্দ্র শীলের সাথে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। একপর্যায়ে বিয়ের প্রলোভনে অভিজিত জোরপূর্বক তার সাথে একাধিকবার দৈহিক মেলামেশা করে। এতে সে তিন মাসের অন্তস্বত্তা হয়ে পরে। পরবর্তীতে বিয়ের জন্য প্রেমিক অভিজিতকে চাঁপ প্রয়োগ করলে সে বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানিয়ে নানা তালবাহানা শুরু করে।

তুলি রানী আরো জানান, গত এক সপ্তাহ পূর্বে প্রেমিক অভিজিত ও তার মা সবিতা রানী শীল নাটকীয়ভাবে তার (তুলির) গর্ভের সন্তান নস্ট করার জন্য জোরপূর্বক তাকে ঔষধ সেবন করিয়ে দেয়। এতে সে অসুস্থ্য হয়ে পরলে স্থানীয় এক পল্লী চিকিৎসকের মাধ্যমে তার চিকিৎসা করিয়ে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয়ার জন্য নানা ষড়যন্ত্র শুরু করা হয়। একপর্যায়ে রবিবার সকালে তুলি গুরুতর অসুস্থ্য হয়ে পরে।

এসময় বাড়ির অন্যান্য লোকজনের কাছে সে বিষয়টি জানালে তারা মুর্মুর্ষ অবস্থায় তাকে (তুলিকে) উদ্ধার করে গৌরনদী থানায় নিয়ে আসে। থানা পুলিশের পরামর্শে অসুস্থ্য তুলিকে গৌরনদী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে তাৎক্ষনিক তাকে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালের গাইনী বিভাগে ভর্তি করা হয়। গৌরনদী থানার ওসি মোঃ সাজ্জাদ হোসেন বলেন, এ ঘটনায় এখনো থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। রোগী সুস্থ্য হওয়ার পর অভিযোগ পেলেই আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

বরিশালে স্ত্রী নির্যাতনের ঘটনায় এস.আই জেলহাজতে
স্ত্রী নির্যাতনের ঘটনায় নগরীর কাউনিয়া থানার বহুল আলোচিত এস.আই ওয়ারেছকে জেলহাজতে প্রেরণের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। সোমবার দুপুরে বাদী পক্ষের আইনজীবী উম্মে আসমা শেলী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, এস.আই ওয়ারেছ গত ৬ এপ্রিল থেকে উচ্চ আদালত থেকে ৪ সপ্তাহের জামিনে ছিলেন। জামিনের মেয়াদ শেষ হওয়ায় সোমবার সকালে সে আদালতে হাজির হয়ে পূনরায় জামিনের আবেদন করেন। এসময় বরিশাল নারী ও শিশু নির্যাতন অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক মোঃ আদিব আলী জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে এস.আই ওয়ারেছকে জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন।

উল্লেখ্য, স্ত্রী হাবিবা আক্তারকে নগরীর কাউনিয়ার চৌধুরীপাড়ার রহিম মিয়ার আবাসিক ভবনের ভাড়াটিয়া বাসায় তিন মাস আটকে রেখে অমানুষিক নির্যাতন করে এস.আই ওয়ারেছ। তালাবদ্ধ ফ্লাটের বন্দিদশা থেকে গৃহবধূ হাবিবাকে চলতি বছরের ৫ মার্চ থানা পুলিশের সহযোগীতায় বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতির বিভাগীয় প্রধান এ্যাডভোকেট মুনিরা বেগম উদ্ধার করেন। ওইদিনই এস.আই ওয়ারেছকে থানা থেকে প্রত্যাহার করা হয়। পরবর্তীতে নির্যাতনের ঘটনায় গত ১০ মার্চ এস.আই ওয়ারেছকে অভিযুক্ত করে হাবিবার মা মাহমুদা বেগম বাদি হয়ে বরিশাল নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন।



মন্তব্য চালু নেই