বরিশালে বিএনপির সমাবেশে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের হামলা

বরিশালে বিএনপির সমাবেশে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ উঠেছে। এতে স্থানীয় বিএনপির অন্তত দশ নেতাকর্মী আহত হয়।
বৃহস্পতিবার বেলা পৌঁনে ১১টার দিকে অশ্বিনী কুমার হল চত্বরে বিএনপির দলীয় কার্যালয়ের সামনে হামলার ঘটনা ঘটে। বরিশাল মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার গোলাম রউফ জানান, পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিএনপি নেতাকর্মীরা বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নগরীর সদর রোড তাদের দলীয় কার্যালয়ের সামনে জড়ো হয়ে মিছিলের প্রস্তুতি নিতে থাকে। একই সময় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরাও কিছুটা দূরে সদর রোডে অবস্থান নেয়। এক পর্যায়ে বিএনপি কার্যালয়ের দিক থেকে একটি বোতল ছুড়ে মারা হয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের দিকে। এ সময় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা উত্তেজিত হয়ে বিএনপি কার্যালয়ের দিকে এগিয়ে গেলে দুই পক্ষের মধ্যে মারামারি শুরু হয়।
কিছু সময় পর পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে বলে গোলাম রউফের ভাষ্য। এদিকে নগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক জিয়াউদ্দিন সিকদার জানান, কেন্দ্রীয় কর্মসূচি গণতন্ত্র হত্যা দিবসের সমাবেশ করার জন্য অশ্বিনী কুমার হল চত্বরের দলীয় কার্যালয়ের সামনে সমবেত হন তারা। এ সময় পুলিশের সামনেই আমাদের সমাবেশের মাইক খুলে নেয় যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এরপর আমাদের ওপর হামলা চালায়। আমরা ফের সমাবেশ করার জন্য কার্যালয় থেকে বের হলে লাঠিসোটা নিয়ে বেধড়ক মারধর করে। এতে নারী কাউন্সিলরসহ অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়। গুরুতর আহত আজাদ সিকদার নামে এক নেতাকে জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নেওয়া হয়েছে।
পুলিশের উপস্থিতিতেই এই হামলার ঘটনা ঘটেছে এবং পুলিশের সহায়তা চাইলে তারা কোন সাড়া দেয়নি বলে অভিযোগ করেন এই নেতা। জেলা বিএনপি (দক্ষিণ) সভাপতি এবায়দুল হক চাঁন বলেন, মাঝখানে বন্ধ থাকলেও বরিশালে প্রতিপক্ষ রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের ওপর হামলার সংস্কৃতি ফের নতুন করে সূচনা হলো। কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের সাথে আলাপ করে এই হামলায় করণীয় বিষয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে। আহতদের মধ্যে আজাদ নামে একজনকে দুপুরে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে তার দলীয় পরিচয় সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যায়নি।
মন্তব্য চালু নেই