বরিশালে নৌপথের নাব্যতা ফেরাতে খনন শুরু
বরিশাল প্রতিনিধি ॥ শীত মৌসুমের শুরুতেই ঢাকা-বরিশাল নৌ রুটসহ বরিশালের অভ্যন্তরীণ রুটে লঞ্চ চলাচলে নাব্য সংকট দেখা দেয়। এ বছরও একই সমস্যা দেখা দেয়ায় ইতোমধ্যে জরুরী ভিত্তিতে নৌপথের নাব্যতা ফেরাতে খনন কাজ শুরু করা হয়েছে।
বিআইডব্লি¬উটিএ’র ড্রেজিং বিভাগের নিবার্হী প্রকৌশলী মোঃ শফিউল্লাহ জানান, গত রবিবার থেকে বরিশাল নদী বন্দর সংলগ্ন এলাকা, লাহারহাট-ভেদুরিয়া ও ভোলানালায় খননের কাজ শুরু করা হয়েছে। এছাড়াও মিয়ারচর, বাহেরচর, ভাষানচর, পাতারহাট, ভোলা-লক্ষীপুর রুটসহ বিভিন্ন নৌ-রুটে পর্যায়ক্রমে গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তার ওপর ভিত্তি করে খনন কাজ করা হবে।
তিনি আরও জানান, নির্দিষ্ট কোন মেয়াদকাল ও খননের পরিমান না থাকলেও এ কাজ এখন থেকে পরবর্তী নির্দেশ না পাওয়া পর্যন্ত চলমান থাকবে। খনন কাজে বিআইডব্লিউটিএ’র নিজস্ব ড্রেজিং মেশিন কাজে লাগানো হচ্ছে। জরুরী ভিত্তির খনন কাজের মধ্যে বরিশাল নৌ-বন্দর সংলগ্ন কীর্তনখোলা নদীতে প্রায় সোয়া লাখ ঘণমিটার খনন করা হবে। আর খনন করা বালি কখনো নদীতে আবার কখনো জায়গা থাকলে নির্দিষ্টস্থানে ফেলা হবে। তবে নদীর যেস্থানে স্রোত কিংবা গভীরতা রয়েছে, খনন করা বালু যেখানে আটকে থাকবে না সে স্থানেই তা ফেলা হবে।
বরিশাল নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের উপ-পরিচালক আজমল হুদা মিঠু সরকার বলেন, খনন কাজের শুরুতেই বিআইডব্লি¬উটিএ কর্মকর্তাদের সাথে অনেকটা দ্বন্ধে জড়িয়ে পরেছেন লঞ্চ চালক ও মালিকরা। ড্রেজিং বিভাগের পক্ষ থেকে নদীবন্দর এলাকায় খনন শুরুর পর পল্টুনের পাশ থেকে লঞ্চ কিছুটা দূরে সরিয়ে নিতে বলা হলেও তা গায়ে নিচ্ছেন না লঞ্চ মালিক ও শ্রমিকরা। এ অবস্থায় ড্রেজিং কাজে ব্যাঘাত ঘটছে। তাই নদী বন্দর এলাকায় শুরুর দিনই থমকে থাকে ড্রেজিং কাজ। অপরদিকে লঞ্চ মালিকরা দাবি করেছেন, নদীর বালু নদীতে ফেলায় খননের সুফল মিলছে না। প্রতিবছর একই স্পট খনন করানো হলেও ফের একই অবস্থা হয় পরের বছর।
মন্তব্য চালু নেই