বন্দুকযুদ্ধে জঙ্গিনেতা মারজানসহ নিহত ২
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে গুলশান হামলার অন্যতম মাস্টারমাইন্ড ও নব্য জেএমবি নেতা মারজনসহ দুই জঙ্গি নিহত হয়েছে। নিহত অপর জঙ্গির পরিচয় পাওয়া যায়নি।
বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে মোহাম্মদপুরে এই বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে।
কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি নিহত একজন জঙ্গি হচ্ছেন মারজান। অন্যজনের পরিচয় এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ক্যাম্প পুলিশ ইনচার্জ বাচ্চু মিয়া জানান, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ৩টা ৪০ মিনিটের দিকে মোহাম্মদপুর থানা পুলিশের কয়েকজন সদস্য মোহাম্মদপুর বেড়িবাধ এলাকা থেকে দুটি মরদেহ মেডিকেলে নিয়ে আসে। জরুরি বিভাগের ডাক্তার তাদের মৃত ঘোষণা করেন।
ঢামেক ক্যাম্পকে পুলিশকে জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে বেড়িবাদে পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধ হয় এসব জঙ্গিদের। একজনের মাথায় ও বুকে গুলি লেগেছে এবং আরেকজনের শুধু বুকে গুলি লেগেছে। দুইজনের মরদেহ বর্তমানে মর্গে রাখা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ঢাকার গুলশান হামলায় জড়িত সন্দেহভাজন জঙ্গি মারজানের প্রকৃত নাম নুরুল ইসলাম। আনুমানিক বয়স ২২-২৩ বছর। পুলিশের তদন্তে গুলশান হামলার ‘অপারেশন কমান্ডার’ হিসেবে মারজানকে শনাক্ত করা হয়।
মারজানের বাড়ি পাবনা সদর উপজেলার হেমায়েতপুর ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের আফুরিয়ায়। মো. নাজিম উদ্দিন ও সালমা খাতুনের ১০ সন্তানের মধ্যে মারজান চতুর্থ। তিনি এক বছর থেকে পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন।
গ্রামের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে পঞ্চম শ্রেণি পাস করে তিনি পাবনা শহরের পুরাতন বাঁশবাজার আহলে হাদিস কওমী মাদ্রাসায় ভর্তি হন। সেখানে পড়াশোনার পাশাপাশি তিনি পাবনা আলিয়া মাদ্রাসায় ভর্তি হয়ে জিপিএ-৫ পেয়ে দাখিল ও আলিম পাস করেন। এরপর ২০১৪ সালে ভর্তি হন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগে।
মন্তব্য চালু নেই