বন্দিদের জন্য ফোন, থাকছে ভিডিও কলের সুযোগ

বাংলাদেশের কারাগারগুলোতে বন্দিরা তাদের পরিবারের সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা বলতে পারবেন। করতে পারবেন ভিডিও কল। আর এই সুযোগ চালু হচ্ছে এ বছরের ডিসেম্বর থেকে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের পর কারা অধিদপ্তর দেশের ৬৭ কারাগারে এই সেবা চালুর জন্য কাজ শুরু করেছে।

আইজি(প্রিজন) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইফতেখার উদ্দিন এই তথ্য জানিয়ে বলেন,‘ মোবাইল ফোনে কথা বলার এই সুবিধা প্রথমে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে চালু হবে। এরপর পর্যায়ক্রমে কাশিমপুর কারাগারসহ জেলা ও অন্যান্য কারাগারেও মোবাইল ফোনের বুথ বসান হবে। প্রাথমিক পর্যায়ে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে দুইটি বুথে মোট ৪টি মোবাইল ফোন থাকবে। পরে চাহিদা অনুযায়ী ফোনের সংখ্যা বাড়ান হবে।’

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গত সপ্তাহে কারাবন্দিদের মোবাইল ফোনে কথা বলার এই সেবার অনুমোদন দেয়ার সঙ্গে নীতিমালাও অনুমোদন করেছে। নীতিমালা অনুযায়ী হাজতি ও কয়েদিরা কারাকর্র্তৃপক্ষকে তাদের পরিবারের একটি মেবাইল ফোন নাম্বার দেবেন। সেই নাম্বারটির নিরাপত্তা ছাড়পত্র পাওয়ার পর বন্দিরা কারাগারের বুথের মোবাইল ফোন থেকে শুধু সেই নাম্বারে পরিবারে সঙ্গে কথা বলতে পারবেন।

আর প্রতিমাসে একজন বন্দি এই সুযোগ পাবেন দু’বার। কথা বলার জন্য প্রতি মিনিটে দিতে হবে ২ টাকা। কারাগারের মোবাইল ফোন থেকে ভিডিও কল করারও সুযোগ থাকবে। সেক্ষেত্রে কত খরচ হবে তা এখনো নির্ধারণ করা হয়নি।

তবে কারাগার থেকে পরিবারের সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা বলার এই সুযোগ পাবেন না যুদ্ধাপরাধ মামলার আসামি আর আটক জঙ্গিরা। আরো কিছু বন্দির ক্ষেত্রে নিরাপত্তার কথা ভেবে কারাকর্তৃপক্ষ চাইলে তাদের মোবাইল ফোনে কথা বলার সুযোগ নাও দিতে পারেন।

কারা অধিদপ্তর জানায়, মোবাইল ফোনে কথা বলার সুবিধা চালুর জন্য এরইমধ্যে কয়েকটি মোবাইল ফোন অপারেটরের সঙ্গে বৈঠকও করা হয়েছে। দেশের অন্যান্য কারাগারগুলোতে প্রথমে দু’টি করে মোবাইল ফোন দেয়া হবে। পরে চাহিদা অনুযায়ী ফোনের সংখ্যা বাড়ান যাবে। আর মোবাইফোন বুথও তৈরি করা হবে।

তবে বন্দিদের ফোন কল মনিটর করা হবে, যাতে নিরপত্তার জন্য ক্ষতিকর কোন ফোনকল ব্লক অথবা কেটে দেয়া যায়।

আইজি(প্রিজন) জানান, ‘সারাদেশের কারগারগুলোতে এখন মোট ৭৫ হাজার ৫০০ বন্দি আছেন। আমাদের লক্ষ্য হল বিশেষ ক্ষেত্র ছাড়া সব বন্দিই যেন চাইলে মাসে দু’বার তাদের পরিবারের সঙ্গে কথা বলতে পারেন।’



মন্তব্য চালু নেই