বনানী কবরস্থানে মরদেহ

সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর মরদেহবাহী গাড়ি বনানী কবরস্থানে পৌঁছেছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টা ২০ মিনিটে গাড়িটি কবরস্থানে পৌঁছে।

বনানী কবরস্থানের ১৮ নম্বর ব্লকের শুরুর দিকে ১৮৩৮/১৪৭ নম্বর কবরে চিরনিদ্রায় শায়িত হবেন আরাফাত রহমান কোকো। এ জন্য কবর খোঁড়াসহ যাবতীয় প্রস্তুতি মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৪টার মধ্যে সম্পন্ন করা হয়েছে।

জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে মঙ্গলবার বিকেল ৫টা ১২ মিনিটে কোকোর জানাজা শুরু হয়। শেষ হয় ৫টা ১৪ মিনিটে। এরপর সর্বসাধারণের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য মরদেহ কিছুক্ষণ সেখানে রাখা হয়।

মঙ্গলবার বিকেল ৫টা ৫৫ মিনিটে আরাফাত রহমান কোকোর মরদেহবাহী গাড়ি বনানী কবরস্থানের উদ্দেশে রওনা হয়।

এর আগে, বিএনপি চেয়ারপারসনের ছোট ছেলের জানাজার নামাজ পড়ান বায়তুল মোকাররমের খতিব মাওলানা সালাউদ্দিন আহমদ। জানাজায় বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের হাজার-হাজার নেতাকর্মীসহ সর্বস্তরের লাখো মানুষ অংশ নেন।

মঙ্গলবার দুপুর ১টা ৩৫ মিনিটে বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে কোকোর লাশবাহী গাড়ি এসে পৌঁছায়। শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে আলিফ মেডিকেল সার্ভিসের লাশবাহী এ্যাম্বুলেন্সে করে তার লাশ আনা হয়।

মা খালেদা জিয়া ছেলের মুখ শেষবারের মতো দেখেন। এর পর স্বজনেরা তাকে শেষ শ্রদ্ধা জানান।

শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে দুপুর সোয়া ১২টার দিকে লাশবাহী এ্যাম্বুলেন্স কোকোর লাশ নিয়ে গুলশানে খালেদা জিয়ার কার্যালয়ের দিকে রওনা হয়।

মঙ্গলবার দুপুর পৌনে ১২টার দিকে আরাফাত রহমান কোকোর লাশ শাহজালাল বিমানবন্দরে এসে পৌঁছে। মামা শামীম এস্কান্দারসহ স্বজনেরা মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৮টায় মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুর থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেন।

২৪ জানুয়ারি বাংলাদেশ সময় দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে আরাফাত রহমান কোকো মালয়েশিয়ায় হার্ট অ্যাটাকে মারা যান।

মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরের জাতীয় মসজিদ নাগারায় রবিবার দুপুরে তার প্রথম নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।



মন্তব্য চালু নেই