ফেসবুকেও ভূমিকম্প !
আজ শনিবার বাংলাদেশে দু দফা ভূমিকম্প অনুভূত হওয়ার পর থেকেই ফেসবুকে শুরু হয়েছে তীব্র মাত্রার ভূমিকম্প! ফেসবুক ফিডে বর্তমান দেশের রাজনৈতিক ও বাংলাদেশ-পাকিস্তানের খেলা নিয়ে স্ট্যাটাস হারিয়ে শুধুই ভূমিকম্পের স্ট্যাটাস দেখে গেছে। এ সময় অনেকেই নিজের অভিজ্ঞতা এবং পরামর্শের কথা জানিয়েছেন।
মেহেদী হাসান পলাশ লিখেছেন, একেতো একের পর এক ভূমিকম্প। তার উপর বৃষ্টি। পাবলিক রাস্তায় দাড়াবে তার উপায় নেই। বাচ্চাদের স্কুল ছুটি দিয়ে দিয়েছে। ভয়ে তারা কান্নাকাটি করছে। দ্রুত যাবো তার উপায় নেই। একেই বলে শিরে সঙ্ক্রান্তি।
আব্দুল্লাহ আল সাফি বলেছেন, ৭.৭ মাত্রা… ভুমিকম্পের পরে বৃষ্টি হওয়া মোটেও ভাল না।
মোহাম্মাদা আনসার আলী লিখেছেন, নেপালের পোখরায় ঘটিত ৭.৭ মাত্রার ভূমিকম্পে কাঠমুন্ডুতেও ইমারত ধ্বসের খবর মিলছে। আমাদের দেশে অনুভূত কম্পন আমার ধারণায় ৪ এর উপর নয়। তাতেই আমার কাছে অনেক ভীতিকর ঠেকেছে। তাই আমাদের এই বিপর্যয়ের মুখোমুখি না হতে হয়, সে জন্য সৃষ্টিকর্তারর কাছে প্রার্থনা করা উচিত।
জহির সুজন লিখেছেন, কতক্ষণ হয়েছে ভুমিকম্প? আমার মনে হলো অনন্তকাল। আমি তাওবাহ শেষ করে চেয়ারে বসে ছিলাম। আর কিছু বলতে পারবো না। চারদিক থেকে মানুষের আর্ত-চিৎকার ভেসে আসছিল। আকাশ কাঁপিয়ে বজ্রপাত হলো কাছে কোথাও। জহির একই সাথে এ সংক্রান্ত কোরআনের সূরা আল মূলকের দুটি আয়াত উল্লেখ করেছেন। লিখেছেন, (১৬) তোমরা কি ভাবনামুক্ত হয়ে গেছ যে, আকাশে যিনি আছেন তিনি তোমাদেরকে ভূগর্ভে বিলীন করে দেবেন, অতঃপর তা কাঁপতে থাকবে। (১৭) না তোমরা নিশ্চিন্ত হয়ে গেছ যে, আকাশে যিনি আছেন, তিনি তোমাদের উপর প্রস্তর বৃষ্টি বর্ষণ করবেন, অতঃপর তোমরা জানতে পারবে কেমন ছিল আমার সতর্কবাণী।”
মো. আসাদুজ্জামান লিখেছেন, আমরা প্রযুক্তিতে এতো আগায় আছি যে ৩০ মিনিট পার হয়ে গেল এখনো দেশে কত মাত্রায় ভূমিকম্প হয়ে গেল তার সঠিক রিপোর্ট দিতে পারেনি আর ঐ দিকে ভারতে একই সময়ে ভূমিকম্প রিপোর্ট ৩০ সেকেন্ড দিয়ে দিল মাত্রা ৭.৫ রেক্টার স্কেল।
প্রসঙ্গত, আজ শনিবার বেলা ১২টা ১৪ মিনিটে রাজধানীসহ সারাদেশে তীব্র ভূকম্পন অনুভূত হয়েছে। মিনিট খানেক স্থায়ী থাকে সে কম্পন। ইউএস জিএস’র তথ্য বলছে ভূমিকম্পের মাত্রা ছিলো ৭.৫। এই ভূমিকম্পের উৎপত্তি হয় নেপালের পোখারার কাছে। নিমিষেই তা ভারত ও বাংলাদেশজুড়ে ছড়িয়ে যায়। ভারত ও নেপালেও ভূমিকম্পের মাত্রা ছিলো ৭.৫। এসময় বাসা-বাড়ি ও অফিস আদালত থেকে লোকজন দ্রুত রাস্তায় নেমে আসে। ভূকম্পনে বিভিন্ন গার্মেন্ট কারখানা ও অফিস ও বাসা-বাড়ি থেকে এসময় তাড়াহুড়ো করে নামতে গিয়ে অনেক লোকজন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এ সময় দেশের বিভিন্ন স্থানে বিল্ডিং হেলে পরার খবর পাওয়া গেছে।
মন্তব্য চালু নেই