পয়সারহাট নদী দখল করে পাকা স্থাপনা নির্মান
দক্ষিণাঞ্চলের তৃতীয় বৃহত্তম জেলার আগৈলঝাড়া উপজেলার পয়সারহাট সেতু সংলগ্ন পয়সা নদীর পাড় অবৈধভাবে দখলকরে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন ধরনের পাকা স্থাপনা নির্মাণ কাজ অব্যাহত রেখেছেন স্থানীয় কতিপয় প্রভাবশালীরা। এসব অবৈধ দখলদারদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট বিভাগ থেকে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় স্থানীয় সুশীল সমাজের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। দখল প্রক্রিয়ার সাথে কতিপয় সরকারি কর্মকর্তা জড়িত রয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। স্থানীয়রা জরুরি ভিত্তিতে দখলকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
সরেজমিনে দেখা গেছে, পয়সারহাট সেতুর পূর্ব প্রান্তে নদীর পাড়ের একটি অংশে পাইলিং ও ইট বালু দিয়ে ভরাট করে দখলে নিয়ে দীর্ঘদিন থেকে বালুর ব্যবসা করছেন স্থানীয় বাদশা বকতিয়ারসহ কতিপয় প্রভাবশালীরা। ফলে ক্রমেই নদীর স্রোতধারা ছোট হয়ে আসছে। উপজেলার একমাত্র নদীর পাশেই বাগধা হাট। অতিসম্প্রতি বাগধা হাটের নদীর পূর্ব প্রান্তে নদীবক্ষে দখল নিয়ে স্থানীয় আব্দুল কাদের মিয়া, মাওলা মিয়া, আকবর মিয়াসহ কতিপয় প্রভাবশালীরা পাকা ভবন নির্মান কাজ শুরু করেছেন। প্রভাবশালী দখলদারদের স্থাপনা নির্মান কাজে স্থানীয় সরকার দলীয় কয়েক নেতা বাঁধা দেয়া সত্বেও দখলদারেরা অদৃশ্য ক্ষমতার জোরে তাদের কাজ অব্যাহত রেখেছেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার দেবী চন্দ বলেন, চলমান নদী দখল করে সেখানে পাকা স্থাপনা তৈরি করা সম্পূর্ণ বেআইনী। বিষয়টির খোঁজ খবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।অন্যদিকে দখলদারদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা সরকারি লোক হিসাবে সরকারি জমি কিছুটা ব্যাবহার করছেন বলে জানান।
মন্তব্য চালু নেই