প্রেসিডেন্ট এরদোগান ৩০ পারা কুরআনের হাফেজ

পুরো পৃথিবীতে এই মুহুর্তে একটি আলোচিত নাম তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রেসপ তাইয়েপ এরদোগান। বিশেষত গত শুক্রবার রাতে ঘটে যাওয়া ব্যর্থ সেনা অভ্যুথানের মধ্য দিয়ে সারা দুনিয়াতে আবারো আলোচনায় এসেছে তুরস্ক তথা এর প্রেসিডেন্ট এরদোগান। যার ডাকে হাজার হাজার দেশ প্রেমিক জনতা রাস্তায় নেমে আসে এমনকি ট্যাঙ্কের সামনে সেনা অভ্যুতথান রুখতে জীবন বাজি রাখতে দেখা যায় কাউকে।

অনেকগুলো কারণের মধ্যে জনগনের স্বতঃফুর্ত ভাবে রাতে রাস্তায় নামার ফলেই ব্যর্থ হতে বাধ্য হয় কতিপয় বিদ্রোহী সেনার অভ্যুত্থান। কিন্তু আপনি কি জানেন, তুরস্কের এই প্রেসিডেন্ট এরদোগান ৩০ পারা কোরআনে হাফেজ? শুধু তাই নয়, বর্তমানে পৃথিবীতে তিনি একমাত্র প্রেসিডেন্ট যিনি একই সঙ্গে প্রেসিডেন্ট এবং পবিত্র কোরআনে হাফেজ।

এখনো পার্লামেন্টে মাঝে মাঝেই তিনি নামাজের ইমামতি করেন এবং তুরস্কে অনেক মসজিদে তিনি ইমামতি করেছেন। প্রেসিডেন্টের উদ্যোগে প্রতি বছর কোরআন প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয় এবং এতে মুসলিম দেশের অনেক হাফেজরাই অংশ গ্রহন করে থাকে।

উল্লেখ্য যে, তুরস্কে ব্যর্থ অভ্যুত্থান চেষ্টার সময় প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগানকে হত্যা করার জন্য তিনটি সামরিক হেলিকপ্টার পাঠানো হয়েছিল। তিনি তখন দক্ষিণ-পশ্চিম তুরস্কের মারমারায় অবকাশ যাপন করছিলেন। সেখানেই তাকে হত্যা কিংবা বন্দি করার জন্য পাঠানো হয়েছিল হেলিকপ্টারগুলো। এ তথ্য জানিয়েছে দেশটির দৈনিক হুরিয়াত এবং আল জাজিরা।

ব্যর্থ অভ্যুত্থানের বিভিন্ন দিক বিশ্লেষণ করে হুরিয়াতের খবরে বলা হয়, ফার্স্ট আর্মির কমান্ডার উমিত দান্দার শুক্রবার দিবাগত রাতে (অভ্যুত্থানের এক ঘণ্টা আগে) এরদোগানের সাথে যোগাযোগ করে অভ্যুত্থান শুরু হওয়ার বিষয়টি জানাতে পেরেছিলেন। এই খবর পেয়েই এরদোগান হোটেল ত্যাগ করেছিলেন। বিদ্রোহী সৈন্যরা যখন সেখানে পৌঁছে, তার আগেই তিনি সরে পড়েছিলেন।



মন্তব্য চালু নেই