প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব এত কঠিন বুঝিনি

হোয়াইট হাউসে এই দিনগুলো কাটানোর সময় আগের জীবনের কথাগুলোই নাকি বেশি মনে পড়ছে ট্রাম্পের। প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেওয়ার পর তাঁর মনে হয়েছে, ছোট একটি জায়গায় বন্দী হয়ে পড়েছেন। আর এই নতুন দায়িত্ব কতটা কঠিন—তা ভেবেও তিনি বিস্মিত।

সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বলেন, ‘আমি আমার আগের জীবনকে ভালোবাসি। আগের জীবনের চেয়ে এখন অনেক বেশি কাজ করতে হচ্ছে। আমি ভেবেছিলাম, প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব সহজ হবে।’

ট্রাম্প বলেন, ‘আগের জীবনে’ তিনি গোপনীয়তা রক্ষায় অভ্যস্ত ছিলেন না। এখন জীবন কতটা সংকীর্ণ হয়ে পড়েছে—তা ভেবে তিনি বিস্মিত। এখন তাঁকে ২৪ ঘণ্টাই কাটাতে হচ্ছে গোয়েন্দা নিরাপত্তার মধ্যে। তিনি বলেন, ‘আপনাকে যদি এত নিরাপত্তার মধ্যে কাটাতে হয়, তবে আপনি চাইলেই যেকোনো জায়গায় যেতে পারবেন না। এটা রেশম পোকার খোলের মধ্যে বন্দী হওয়ার মতো।’

হোয়াইট হাউস থেকে প্রেসিডেন্ট যখন বের হন, তখন তাঁকে লিমোজিন বা এসইউভি গাড়ি ব্যবহার করতে হয়। ওই গাড়ি ট্রাম্প চাইলে নিজে চালাতে পারেন না। এ জন্য আক্ষেপ প্রকাশ করে ট্রাম্প বলেন, ‘আমি গাড়ি চালাতে পছন্দ করি। কিন্তু এখন আর গাড়ি চালাতে পারি না।’

নির্বাচনে জেতার পর পাঁচ মাস হয়ে গেলেও সেই আমেজ যেন ধরে রেখেছেন ট্রাম্প। সাক্ষাৎকার দেওয়ার সময় চীন প্রসঙ্গে আলোচনা চলার মাঝপথেই ট্রাম্প থেমে যান এবং ২০১৬ সালের নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বীর সঙ্গে তাঁর জয়-পরাজয়ের মানচিত্র দেখান। ওই মানচিত্র বের করে ট্রাম্প বলেন, ‘এখান থেকে আপনি আমার জয়লাভ করা এলাকাগুলো দেখতে পাবেন।’ ওই মানচিত্রে ট্রাম্প যেসব এলাকায় জয়লাভ করেছেন, সেসব এলাকা লাল চিহ্নিত করে রাখা হয়েছে। ট্রাম্প বলেন, ‘এটা বেশ ভালো, না? এই লাল চিহ্নিত এলাকাগুলো স্পষ্টতই আমাদের।’ ওই কক্ষে থাকা রয়টার্সের তিনজন সাংবাদিককেই তিনি ওই মানচিত্রের কপি দেন।

নির্বাচনী প্রচারণার সময় থেকেই অনেক সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে বিবাদে জড়িয়ে পড়েন ট্রাম্প। কাল শনিবার ওয়াশিংটনে গণমাধ্যমের হোয়াইট হাউস প্রতিনিধিদের জন্য দেওয়া নৈশভোজে তিনি যোগ না দেওয়ার সিদ্ধান্ত ইতিমধ্যে জানিয়ে দিয়েছেন। কারণ ট্রাম্প মনে করেন, গণমাধ্যমগুলো তাঁর সঙ্গে ন্যায়সংগত আচরণ করেনি। ভবিষ্যতে সাংবাদিকদের নৈশভোজে অংশ নেবেন কি না, জানতে চাইলে ট্রাম্প বলেন, ‘আমি আগামী বছর নিশ্চয়ই অংশ নেব।’

হোয়াইট হাউস করেসপন্ডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন ওই নৈশভোজের আয়োজন করে থাকে। রয়টার্সের প্রতিনিধি জেফ ম্যাসন এই সংগঠনের প্রেসিডেন্ট।



মন্তব্য চালু নেই