যৌন হয়রানি : উপাধ্যক্ষসহ সব পুরুষ কর্মচারীদের অব্যাহতি

প্রিপারেটরি স্কুল বন্ধ ঘোষণা

রাজধানীর মোহাম্মদপুর প্রিপারেটরি স্কুল ও কলেজে প্রথম শ্রেণী ও পঞ্চম শ্রেণীর দুই ছাত্রীকে যৌন নিপীড়নের ঘটনায় অভিভাবকদের বিক্ষোভের জেরে প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। ২৫ মে পর্যন্ত স্কুলটি বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

যোগাযোগ করা হলে প্রতিষ্ঠানটির ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের জ্বালানি উপদেষ্টা ড. ম তামিম বলেন, স্কুলের রুটিন অনুযায়ী ২৪ মে থেকে গ্রীষ্মকালীন ছুটি শুরু হওয়ার কথা। সে ছুটি কিছুদিন এগিয়ে আনা হয়েছে।

যৌন নিপীড়নের ঘটনার ব্যাপারে তিনি বলেন, এ ঘটনায় অভিযোগ পাওয়ার পরই আমরা তদন্ত শুরু করেছি। তদন্ত কমিটিতে ওই শিক্ষার্থীর বাবাও রয়েছে।

তিনি বলেন, দায়িত্ব অবহেলার কারণে আমরা উপাধ্যক্ষ জিনাতুন নেছাকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিয়েছি। এছাড়া যৌন নিপীড়নের সঙ্গে জড়িত দুই কর্মচারীকে বরখাস্তও করা হয়েছে। এখানে বালিকা শাখায় কর্মচারীদের মধ্যে তিনজন পুরুষ সুইপারের কাজ করতেন, তাদের সবাইকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

এদিকে এ ঘটনা তদন্তে গঠিত কমিটির প্রতিবেদন শনিবার জমা দেওয়ার কথা থাকলেও প্রতিবেদন তৈরি না হওয়ায় আরও তিন দিনের সময় বৃদ্ধি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

এর আগে শনিবার সকাল থেকেই কয়েকশ’ বিক্ষুব্ধ অভিভাবক স্কুলটির বালিকা শাখার সামনে বিক্ষোভ শুরু করেন। এ সময় তারা যৌন নিপীড়ন নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করায় স্কুলটির উপাধ্যক্ষ জিনাতুন নেছার পদত্যাগ দাবি করেন। শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা ও দোষীদের শাস্তি দাবি করে তারা বক্তব্য দেন। একপর্যায়ে উত্তেজিত অভিভাবকরা বিদ্যালয়ের গেট ও জানালার কাচ ভাঙচুর করেন।

প্রসঙ্গত, গত ৫ মে প্রথম শ্রেণীর এক শিক্ষার্থীকে স্কুলের ক্যান্টিন বয়রা একটি নবনির্মিত ভবনের রুমে ভয়ভীতি দেখিয়ে যৌন নিপীড়নের চেষ্টা করে। এ ব্যাপারে ৯ মে স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ করেন ওই ছাত্রীর মা।

এছাড়া ৬ মে স্কুলটির ৫ম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে স্কুলের নিম্ন শ্রেণীর কর্মচারীরা যৌন হয়রানির চেষ্টা করে বলে অভিযোগ রয়েছে।

এ ঘটনা জানাজানি হয়ে গেলে, গত বুধবার থেকে দোষীদের শাস্তি দাবি করে বিক্ষোভ করেন অভিভাবকরা।

আরো পড়ুন :

যৌন হয়রানি : মোহাম্মদপুরের স্কুল থেকে উপাধ্যক্ষসহ সব পুরুষ কর্মচারীদের অব্যাহতি



মন্তব্য চালু নেই