প্রাণভিক্ষার ৩২ ফাইলে সই প্রণব মুখার্জির
কাজ ফেলে রাখা তাঁর পছন্দ নয়। তাই পূর্বসূরিদের পথে হাঁটলেন না ভারতের রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জি। তাঁর দপ্তরে পড়ে থাকা ৩২টি ক্ষমা প্রার্থনা সংক্রান্ত আবেদন নিয়ে সিদ্ধান্ত নিয়ে নিয়েছেন তিনি। এর কোনটা পড়ে রয়েছে ১৬ বছর, কোনটা ১১ বছর। তাঁর আগের তিন রাষ্ট্রপতি— কে আর নারায়ণন, এপিজে আবদুল কালাম এবং প্রতিভা পাটিলের ফেলে রাখা ফাইল নিয়েও সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।
এখনও পর্যন্ত ৩২টি ক্ষমা ভিক্ষার আবেদন নিয়ে কোন রাষ্ট্রপতিই সিদ্ধান্ত নেননি। সেই দিক থেকে প্রণব মুখার্জি দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন। ৩২টির মধ্যে ২৮টি ক্ষমা ভিক্ষার আবেদন তিনি খারিজ করেছেন। ৮৭ শতাংশ ফাঁসি কার্যকর করার পক্ষে গিয়েছেন রাষ্ট্রপতি। আবেদন খারিজের তালিকায় রয়েছে ২৬/১১ মুম্বাই হামলার অন্যতম হোতা আজমল কাসব, একই পরিবারের ১৩ জনের হত্যাকারী গুরমিত সিং। সেই ২০০৭ সালে গুরমিতের ক্ষমা ভিক্ষা সংক্রান্ত ফাইল পৌঁছায় রাইসিনা হিলে। তা নিয়ে সিদ্ধান্ত নেননি কালাম বা প্রতিভা পাটিল।
২০০১ সালে সংসদ হামলায় দোষী সাব্যস্ত আফজল গুরুর ক্ষমা প্রার্থনার আবেদনও খারিজ করেছেন তিনি। পাঁচ জনকে খুন করার জন্য ধর্মপালের ফাঁসির সিদ্ধান্ত নিতে চারবার আবেদন জানিয়েছিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়। ২০০০ সালে প্রথমবার তা পাঠানো হয় কেআর নারায়ণনের সময়ে। রাষ্ট্রপতি হিসেবে চারটি ক্ষমা ভিক্ষার আবেদন পেয়েছেন প্রণব। এখনও পর্যন্ত সবেচয়ে বেশি এই আবেদন গিয়েছে রাষ্ট্রপতি আর ভেঙ্কটরমনের কাছে। ১৯৮৭ থেকে ১৯৯২ সাল পর্যন্ত তিনি ৪৪টি ক্ষমা ভিক্ষার আবেদন গ্রহণ করেন।
মন্তব্য চালু নেই