‘প্রমাণের ভিত্তিতে’ ভোট কারচুপির অভিযোগ ট্রাম্পের
হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, সমীক্ষা ও প্রমাণের ভিত্তিতে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বিশ্বাস করেন, যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে কয়েক লাখ মানুষ অবৈধ ভোট দিয়েছে।
হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি সেইন স্পেইসার জানিয়েছেন, ‘ট্রাম্প এটি বিশ্বাস করেন’ কিন্তু সাংবাদিকদের উদ্দেশে এ কথা বলার সময় এর সমর্থনে কোনো প্রমাণপত্র দেননি তিনি।
হিলারি ক্লিনটনের কাছে পপুলার ভোটে হারের কারণ হিসেবে বারবার ট্রাম্প একই দাবি করেছেন : নির্বাচনে কারচুপি হয়েছে, অবৈধ ভোটাররা ভোট দিয়েছে। কিন্তু ব্যাপকভাবে ভোট জালিয়াতির সব অভিযোগ প্রত্যাখ্যাত হয়েছে।
মঙ্গলবার স্পেইসার সাংবাদিকদের বলেন, ‘সমীক্ষা ও প্রমাণের ভিত্তিতে তিনি এখনো সেই বিশ্বাস পোষণ করছেন, জনগণ তাকেই বেছে নিয়েছে।’
সোমবার রাতে কংগ্রেসের নেতাদের সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠকে ট্রাম্প বলেন, ৩০ থেকে ৫০ লাখ অবৈধ অভিবাসী নির্বাচনে ভোট দিয়েছে। পর দিন স্পেইসার সাংবাদিকদের ডেকে ট্রাম্পের অবস্থান আবারও তুলে ধরেন।
নভেম্বর মাসের শেষের দিকে এক টুইটে নির্বাচনে ভোট কারচুপির বিষয়ে প্রথম অভিযোগ আনেন ট্রাম্প। তিনি লিখেছিলেন, ‘ইলেক্টরাল কলেজে ভূমিধস বিজয় ছাড়াও পপুলার ভোটেও আমি জিতেছি, যদি লাখ লাখ অবৈধ বাদ দেওয়া হয়।’ তবে তখনও তিনি কোনো ধরনের প্রমাণ হাজির করেননি।
নির্বাচন বিশেষজ্ঞরা ট্রাম্পের এ দাবি প্রত্যাখ্যান করেছেন এবং গুরুত্বপূর্ণ রাজ্যগুলোর রিপাবলিকান পার্টির নির্বাচন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তারা কোনো ধরনের ছলচাতুরির প্রমাণ পাননি।
গত বছর ৮ নভেম্বরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ইলেক্টরাল ভোটে ট্রাম্প জিতলেও প্রায় ৩০ লাখ পপুলার ভোট বেশি পেয়েছেন ডেমোক্র্যাটিক পার্টির প্রার্থী হিলারি ক্লিনটন। গুরুত্বপূর্ণ কিছু রাজ্যে সামান্য ব্যবধানে হেরে ইলেক্টরাল কলেজ ভোটে পরাজিত হয়েছেন হিলারি। কিন্তু ট্রাম্প তা মানতে রাজি নন। তার দাবি, কারচুপি হওয়ায় ইলেক্টরাল ভোট বেশি পেয়েছেন হিলারি। আর এসব ভোট এসেছে অবৈধ অভিবাসীদের মাধ্যমে।
যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় আজ বুধবার অবৈধ অভিবাসী ঠেকাতে কয়েকটি নির্বাহী আদেশে সই করতে যাচ্ছেন ট্রাম্প। এর মধ্যে সিরিয়াসহ মধ্যপ্রাচ্য ও আফ্রিকার ছয়টি দেশের নাগরিকদের ভিসা দেওয়া বন্ধ করার আদেশও থাকছে। তা ছাড়া নির্যাতিত ধর্মীয় সংখ্যালঘু বাদে যুক্তরাষ্ট্রে শরণার্থী প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হচ্ছে।’
তথ্যসূত্র : বিবিসি অনলাইন।
মন্তব্য চালু নেই