জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর

প্রধান প্রকৌশলী হতে ‘বিতর্কিত’ শহিদের দৌড়ঝাঁপ

জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী পদে নিয়োগ পেতে দৌড়ঝাঁপ করছেন একজন বিতর্কিত ও জ্যেষ্ঠতায় তিন নম্বরে থাকা অতিরিক্ত প্রকৌশলী। আর তার হয়ে এক আমলা কাজ করছেন বলে তিনি প্রচার করে বেড়াচ্ছেন। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় সূত্রে এমন অভিযোগ পাওয়া গেছে।

১২ জানুয়ারি খালেদা আহসান অবসরে যাওয়ার পর থেকে ওই অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী পদটি খালি। প্রধান প্রকৌশলী ছাড়াই প্রায় দুই সপ্তাহ পার করল জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর।

স্থানীয় সরকার বিভাগ সূত্র জানায়, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী নিয়োগ নিয়ে চলছে নানামুখী তৎপরতা। গ্রেডেশনে এগিয়ে থাকাদের পাশাপাশি এই দৌড়ে আছেন বিতর্কিত কর্মকর্তারাও।

সূত্র জানায়, সাধারণত অতিরিক্ত প্রকৌশলীদের মধ্য থেকে পদোন্নতির মাধ্যমে প্রধান প্রকৌশলী পদটি পূরণ করা হয়। অতীতে এভাবেই নিয়োগ-প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। অধিদপ্তরে বর্তমানে যে তিনজন অতিরিক্ত প্রকৌশলী রয়েছেন, তাদের মধ্যে জ্যেষ্ঠতায় এগিয়ে আছেন দেলোয়ার হোসেন। তার পরে আছেন ওয়ালিউল্লাহ এবং শেষে শহিদ ইকবাল। কিন্তু জ্যেষ্ঠতায় এগিয়ে থাকা দুজনকে ডিঙিয়ে প্রধান প্রকৌশলী পদে নিয়োগ পেতে মরিয়া শহিদ ইকবাল। তিনি শুধু জ্যেষ্ঠতাতেই পিছিয়ে নন, তার বিরুদ্ধে আছে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগও।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের একাধিক সূত্র জানায়, শহিদ ইকবালের বিরুদ্ধে রয়েছে বড় ধরনের আর্থিক দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ। তার বিরুদ্ধে প্রায় ২০০ কোটি টাকা দুর্নীতির একটি অভিযোগ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পৌঁছেছে। এ ব্যাপারে তদন্ত করে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়কে (এলজিআরডি) চিঠি দেয়া হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে।

এলজিআরডি মন্ত্রণালয়ের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, প্রধান প্রকৌশলী পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে প্রধান বিবেচ্য গ্রেডেশনের জ্যেষ্ঠতা। যদি জ্যেষ্ঠতায় এগিয়ে থাকা প্রথমজন কোনো কারণে অযোগ্য বিবেচিত হন, তখন দ্বিতীয়জনের কথা ভাবা হয়।

ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, অধিদপ্তরে জ্যেষ্ঠতায় এগিয়ে থাকা দেলোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে কোনো ধরনের অনিয়ম-দুর্নীতির কোনো অভিযোগ যেমন নেই, তেমনি তার যোগ্যতা নিয়েও নেই কোনো প্রশ্ন। সে ক্ষেত্রে দুজনকে ডিঙিয়ে শহিদ ইকবালের প্রধান প্রকৌশলী পদে নিয়োগ পেতে তদবির অশোভন ও অগ্রহণযোগ্য। তা ছাড়া বিভিন্ন সময় আর্থিক অনিয়মের কারণে শহিদুল ইকবাল অধিদপ্তরে বেশ বিতর্কিত বলেও জানান তিনি।

এলজিআরডি মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, নেতিবাচক অবস্থানে থাকা সত্ত্বেও তার পক্ষে একজন আমলা কাজ করছেন বলে প্রচার করে বেড়াচ্ছেন শহিদ ইকবাল।

এ ব্যাপারে জানার জন্য স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব আবদুল মালেকের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তিনি ফোন ধরেননি।



মন্তব্য চালু নেই