প্রতিবেশিদের উপগ্রহ দিতে চান মোদি
রকেট পাঠানো কিংবা কৃত্রিম উপগ্রহ স্থাপন, মহাকাশ বিজ্ঞানে ভারত এখন বিশ্বের অন্যতম নির্ভরযোগ্য দেশ। আর এই সফলতাকে এবার প্রতিবেশি দেশগুলোর মধ্যেও ছড়িয়ে দিতে চান দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। নিজ দেশের মহাকাশ বিজ্ঞানীদের কাছে তিনি অনুরোধ করে জনিয়েছেন, এমন একটা উপগ্রহ বানান, যা সার্ক দেশগুলোর কাজে আসে। আর সেটাই হবে প্রতিবেশী দেশগুলোকে ভারতের উপহার।
নির্ভরযোগ্যতা অর্জনের ধাপ পেরিয়ে মহাকাশ বাণিজ্যের প্রতিযোগিতায় ভারতেকে আরো সফল দেখতে চান মোদি। আর সেই সাফল্য যে আসবেই সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই তার। কারণ, ভারতে মহাকাশ-চর্চা অনেক সস্তা। যে বিপুল অর্থ ব্যয় করে মার্কিন গবেষণা কেন্দ্র নাসা মঙ্গলগ্রহে যান পাঠায়, ভারতের তা করতে ছ’ভাগের একভাগও খরচ হয়নি। যে যান পাঠাতে নাসার লেগেছিল ৪৫ দশমিক ৫ কোটি ডলার। তা ভারতের মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র ইসরো পাঠিয়েছে মাত্র ৭ দশমিক ৩ কোটি ডলারে। মোদি এ তথ্য তুলে ধরার পাশাপাশি হলিউডির ছবির প্রসঙ্গও টানেন।
মোদি বলেন, ‘শুনেছি, আমাদের মঙ্গল অভিযানের চেয়েও নাকি হলিউডি ছবি “গ্র্যাভিটি” তৈরিতে বেশি খরচ হয়েছিল। এতেও বুঝা যায় এটা একটা বিশাল সাফল্য।’ উল্লেখ্য, গত বছর ১০ কোটি ডলার খরচ করে তৈরি হয়েছিল ব্রিটিশ-মার্কিন থ্রি-ডি থ্রিলার ‘গ্র্যাভিটি’।
পশ্চিমাদের টানতে সার্ক দেশগুলোকে উপগ্রহ উপহার দেয়ার কথা কেন ভাবছেন মোদি? এরও সহজ উত্তর দিয়েছেন মোদি। তিনি জানান, বাণিজ্যে লক্ষ্মীলাভের পাশাপাশি কূটনীতিতে সার্কের মন জয়ও আরো একটি বিশেষ লক্ষ্য তার। দেশের মহাকাশ-চর্চাকে এই জোড়া লক্ষ্য পূরণের সঙ্গে জুড়ে দিতে চাইছেন তিনি। সূত্র: আনন্দবাজার
সার্ক সম্পর্কে বার্তাটা ছিল তার শপথের অনুষ্ঠানেই। সেটাই এবার আরো জোরালোভাবে দিলেন মোদি। আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে ভারতকে আরো শক্তিশালীভাবে তুলে ধরতে দক্ষিণ এশীয় দেশগুলোর জোট সার্কের মঞ্চকে ভিত করতে চান তিনি। এতে মোদি বুঝিয়ে দিলেন সার্ক দেশগুলোর কল্যাণে ভারতকে অগ্রণী ভূমিকায় দেখতে চান তিনি। দক্ষিণ এশীয় দেশগুলোর একটি মজবুত ব্লক গড়ে তোলা ও তার নেতৃত্বের জায়গায় নয়াদিল্লিকে প্রতিষ্ঠা করাই তার মূল লক্ষ্য।
মন্তব্য চালু নেই