পুলিশী সতর্কতায় খালেদার নির্বাচনী প্রচারণা

টানা তিন দিন হামলার শিকার হওয়ার পর ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের নিয়ে ও পুলিশের সতর্ক অবস্থানের মধ্য দিয়ে শুক্রবার নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।

এ দিন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের এলাকাভুক্ত নতুন বাজার, নর্দ্দা, বিশ্বরোড, বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা, প্রগতী স্বরণী, বাড্ডা, গুলশান লিংক রোড, গুলশান ১ ও ২ নম্বর বনানী এলাকায় প্রচারণা চালান খালেদা। এ সময় পথসভাও করেন তিনি। খালেদার এই প্রচারণাকালে গুলশান, বাড্ডা, ভাটারা, বনানী থানার পুলিশ সবসময় তার গাড়িবহরের আশেপাশে অবস্থান করে। প্রতিটি থানার পুলিশ সদস্যদের নিজ নিজ এলাকায় খালেদার জিয়ার এস্কট (প্রহরীস্বরূপ) করতে দেখা যায়।

পুলিশ ছাড়াও এ দিন খালেদার গাড়িবহর ঘিরে রেখেছিল ছাত্রদলের কয়েকশ’ নেতাকর্মী।

গত রবি থেকে বুধবার প্রতিদিনই নির্বাচনী প্রচারে বেরিয়ে খালেদার গাড়িবহর হামলা বা বাধার মুখে পড়ে। কিন্তু শুক্রবার পুলিশ ও ছাত্রদল নেতাকর্মীদের বাড়তি তৎপরতা দেখা যাওয়ায় কোনো রকম হামলা বা বাধা ছাড়াই খালেদার ষষ্ঠ দিনের নির্বাচনী প্রচারণা শেষ হয়।

গাড়িবহর থেকে হ্যান্ড মাইকে বিএনপি সমর্থিত মেয়র প্রার্থী (দক্ষিণ ও উত্তর) মির্জা আব্বাস ও তাবিথ আউয়ালের পক্ষে ভোট চাওয়া হয়। এ সময় নেতাকর্মীদের রাস্তার দুই পাশে দাঁড়িয়ে থাকা জনগণের কাছে লিফলেট বিতরণ করতে দেখা যায়।

প্রচারণাকালে খালেদা জিয়া বলেন, ‘পর পর তিন দিন আমার প্রাণনাশের চেষ্টা চালানো হয়েছে। আমার নিরাপত্তাকর্মীদের আহত করা হয়েছে। এভাবে গুলি চালিয়ে, হামলা করে আমার চলার পথ বন্ধ করতে পারবে না। উপরে আল্লাহ আছেন, জনগণ আমাদের সঙ্গে আছে।’

এর আগে গত রবিবার উত্তরায় মৃদু বাধার পর সোমবার কারওয়ান বাজার ও বুধবার বাংলামোটরে খালেদার গাড়িবহরে হামলার ঘটনা ঘটে। হামলায় খালেদার গাড়ির কাঁচ ভেঙে যায়, ভাংচুর করা হয় বহরে থাকা তার ব্যক্তিগত নিরাপত্তা বাহিনী সিএসএফের গাড়িও। বৃহস্পতিবার ক্ষতিগ্রস্ত গাড়িগুলো মেরামত করা হয়। এ কারণে ওই দিন নির্বাচনী প্রচারণায় বের হতে পারেননি খালেদা জিয়া।

এ দিনের প্রচারণাকালে খালেদা জিয়ার গড়িবহরে ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমান, বিশেষ সহকারী এ্যাডভোকেট শামছুর রহমান, শিমুল বিশ্বাস, মাহবুব আলামিন ডিউক, মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক শিরিন সুলতানা, ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি আব্দুল কাদের ভূইয়া জুয়েল, ছাত্রদলের বর্তমান সভাপতি রাজিব আহসান, সাধারণ সম্পাদক মো. আক্রামুল হাসান, সহ-সভাপতি নাজমুল হাসান প্রমুখ।



মন্তব্য চালু নেই