পুরোনো বাস আর অবৈধ চালকের ছাড় নেই : মেয়র

ফিটনেসবিহীন ও মেয়াদোত্তীর্ণ যান চলাচলের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে অভিযান শুরু করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। একইসঙ্গে লাইসেন্সবিহীন গাড়ি চালানোর অপরাধে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দিয়েছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) ও সিটি করপোরেশনের নির্বাহী হাকিম। যান চলাচলে স্বচ্ছতা ফিরে না আসা পর্যন্ত এই অভিযান চালানো হবে বলে জানিয়েছেন দক্ষিণের সিটি মেয়র সাঈদ খোকন।

ডিএনসিসি মেয়র বলেন, ‘২০ বছরের পুরোনো বাস এবং লাইসেন্সবিহীন ড্রাইভারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছি। আইন তার নিজস্ব গতিতে চলবে। সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা ফিরিয়ে না আনা পর্যন্ত এই অভিযান আমরা অব্যাহত রাখব।’

‘রাস্তায় আইন অমান্য করলে যত বড় ক্ষমতাবানই হোক, কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না’, যোগ করেন সাঈদ খোকন।

রাজধানীর বেশির ভাগ মানুষ তাদের চলাচলের মাধ্যম হিসেবে গণপরিবহনের ওপরই বেশি নির্ভরশীল। যদিও গণপরিবহনের সংকটের কারণে হরহামেশাই নগরবাসীদের নাকাল হতে হয়। গণপরিবহনগুলোর মধ্যে সংখ্যায় একটি বড় অংশই হয় ফিটনেস নেই অথবা মেয়াদোত্তীর্ণ। আর এসব গাড়ির চালকদের নিয়েও আছে অনেক প্রশ্ন। এদের কেউ লাইসেন্স ছাড়াই গাড়ি চালাচ্ছেন, আবার অনেকে বয়সের সীমাই পার করতে পারেননি।

অপ্রাপ্তবয়স্ত দুজন চালক জানালেন, তাঁদের কোনো লাইসেন্স নেই। যেহেতু তাদের ছোট থেকে বড় হতে হয়, সেই কারণেই তাদের এখনো ‘লাইনে উঠা’ দেরি।

এমন পরিস্থিতিতে যান চলাচলে স্বচ্ছতা ফিরিয়ে আনতে নির্বাহী হাকিমের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে অভিযান শুরু করেছে দক্ষিণ সিটি করপোরেশন। আজ রোববার আনুষ্ঠানিকভাবে মেয়রের উপস্থিতিতে অভিযান শুরু করেন বিআরটিএ ও সিটি করপোরেশনের নির্বাহী হাকিমরা। এ সময় ফিটনেস বিহীন ও মেয়াদোত্তীর্ণ যানবাহন আটকে বিভিন্ন অঙ্কের জরিমানা করা হয়। এ ছাড়া লাইসেন্স না থাকায় বিভিন্ন মেয়াদে গাড়ির চালকদের সাজা দেন নির্বাহী হাকিম।

এ ব্যাপারে বিআরটিএর নির্বাহী হাকিম মো. আবদুস সালাম বলেন, ‘মোটরগাড়ির ফিটনেস নেই, রোড পারমিট নেই, যত্রতত্র পার্কিং করা, ২০ বছরের পরোনো গাড়ির রুট পারমিটের কোনো সুযোগ নেই। তাই ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’

পর্যায়ক্রমে দক্ষিণ সিটির বিভিন্ন সড়কে এই অভিযান চালানো হবে বলে জানিয়েছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন।



মন্তব্য চালু নেই