পিতামাতা ছাড়াই সুইডেনে আশ্রয়প্রার্থী শিশুরা

আমাকে বাঁচতে হবে; যুদ্ধ ও দরিদ্রতা থেকে— এই তাড়নায় পিতামাতা ছাড়াই জন্মভূমি ছেড়ে পালাচ্ছে হাজারো শিশু। চলতি বছর ইতোমধ্যে ইউরোপের দেশ সুইডেনে পাড়ি জমিয়েছে অভিভাবকহীন ১০ হাজার শিশু।

ডননিউজে শনিবার এএফপি’র বরাতে প্রকাশ করা এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বছরের শুরু থেকে এ পর্যন্ত সুইডেনে ১০ হাজার শিশু শরণার্থী প্রবেশ করেছে। এদের বেশিরভাগই সোমালিয়া, আফগানিস্তান, সিরিয়া ও ইরিত্রিয়া থেকে যাওয়া।

সুইডেনের অভিবাসন বিভাগ জানিয়েছে, গত কয়েক সপ্তাহে আশ্রয়প্রার্থীর হার অনেক বেড়ে গেছে। এ অবস্থাকে ‘অস্বাভাবিক’ বলে উল্লেখ করেছে সংস্থাটি।

অভিবাসন বিভাগের নারী মুখপাত্র সোফিয়া ওহভাল লুন্ডবার্গ বলেন, ‘গত সপ্তাহগুলোতে অভিভাবকহীন শিশুদের আসার পরিমাণ অবিশ্বাস্যভাবে বেড়ে গেছে।’

এ অবস্থাকে উদ্বেগজনক আখ্যা দিলেও শরণার্থীদের সেবার মান বাড়াতে তারা প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছেন বলে উল্লেখ করেন সোফিয়া।

যে কারণে সুইডেনে শিশুরা

রেডক্রসের কর্মকর্তা ইদা হোমগ্রেন বলেন, ‘তারা (শরণার্থী) জানে সুইডেনে তাদের মানবিকতা সহকারে গ্রহণ করা হবে। এখানকার ব্যবস্থাপনা ভালো এবং তাদের আশ্রয়স্থল লাভের সম্ভাবনা রয়েছে।’

হ্যাঁ, ইউরোপের অন্যান্য দেশের তুলনায় সুইডেনে শরণার্থীদের প্রতি ভালো আচরণ করা হয়। আশ্রয়প্রার্থীদের নিবন্ধনভুক্ত ও থাকার ব্যবস্থা করে প্রশাসন। শিশুদের জন্য আলাদা জায়গা বা আত্মীয়ের সঙ্গে থাকার ব্যবস্থা করা হয়।

সামাজিক সংগঠনগুলো শিশুদের বেড়ে উঠা ও শিক্ষার ব্যবস্থা করে।

তবে হ্যাঁ, এখানে এসে যে কেউ খারাপ পরিস্থিতির শিকার হচ্ছেন না তা কিন্তু নয়। এ অভিযোগ করেছে খোদ সুইডিশ সমাজকর্মীরাই। তারা জানিয়েছে, পর্যাপ্ত কর্মীর অভাবে অনেক শিশুকেই কষ্ট করে জীবন-যাপন করতে হচ্ছে। অনেককেই প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।

আরেকটি সমস্যা আছে— সেটা হল সুইডিশ ভাষা ও সংস্কৃতি। দেশটিতে কাজ-কর্ম করতে হলে সুইডিশ ভাষা শিক্ষা বাধ্যতামূলক। এটি ভালোভাবে আয়ত্ত্ব করতে না পারলে যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও ন্যায্য মূল্যে কাজ পাওয়া যাবে না।



মন্তব্য চালু নেই