পাখি শিকারে গিয়ে সঙ্গীসহ কাতারের আমির গ্রেফতার

নিরীহ পাখি শিকারের আনন্দ-উল্লাসে মত্ত কাতারের আমির ও তার সঙ্গে থাকা কর্মীরা চেকপোস্টের ব্যারিকেড ভেঙে গাড়ি নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছিল। কিন্তু সবটা কপালে সইল না।

বন্ধু রাষ্ট্র পাকিস্তানের পুলিশই তাদের গ্রেফতার করেছে। ঘটনায় আলোড়িত পাকিস্তান। কারণ এই দেশেই চলছে আন্তর্জাতিক আইন ও সুপ্রিমকোর্টের নির্দেশ অমান্য করে হোবারা পাখি শিকার।

পাক সংবাদ মাধ্যম জানায়, আটকদের মধ্যে কাতারের আমিরের সঙ্গে আসা ১৬ জন স্টাফ রয়েছেন। এদের মধ্যে কয়েকজন পাকিস্তানি ও বাংলাদেশি নাগরিক।

পাক সংবাদ মাধ্যম আরও জানায়, চারটি গাড়ি নিয়ে হোবার পাখি শিকারে বেরিয়েছিলেন কাতারের আমির ও তার ব্যক্তিগত কর্মীরা। বালোচিস্তানের মাশকিল এলাকায় যাওয়ার সময় একটি চেকপোস্ট ভেঙে দেয় সেই কনভয়। এরপরেই কাতারের আমির দলকে আটকে দেয় পুলিশ। আইন ভাঙার কারণে তাদের গ্রেফতারও করা হয়।

সম্প্রতি কাতারের প্রিন্স শেখ হামাদ বিন জসিম বিন জাবের বিন মহম্মদ বিন থানি আল থানিকে হোবারা বাস্টার্ড শিকারের অনুমতি দিয়েছে পাকিস্তান সরকার। তারপর থেকেই কাতারের আমিরকুল চলে আসছে পাকিস্তানে। চলছে হোবারা শিকার পর্ব।

শীতের মৌসুমে পাকিস্তানের বিভিন্ন এলাকায় ‘হোবারা বাস্টার্ড’ পাখি শিকার হয়। ২০১৫ সাল থেকে হোবারা বাস্টার্ড পাখি শিকার নিষিদ্ধ। তারপরেও এই পাখি শিকারের নির্দেশ দেওয়ায় বিতর্ক তৈরি হয়েছে।

পক্ষী বিশেষজ্ঞরা শঙ্কা প্রকাশ করে বলেছেন, শত শত হোবারা বাস্টার্ড মেরে ফেলবেন কাতারের আমির ও তার মোসাহেবরা।



মন্তব্য চালু নেই