পাখির পেটে বোমা!

যুদ্ধক্ষেত্রে বিভিন্ন প্রাণীর ব্যবহার এখন আর নতুন কিছু না। যুক্তরাষ্ট্র এবং অস্ট্রেলিয়া নৌ-যুদ্ধে পারদর্শিতার জন্য ব্যবহার করে ডলফিন। অন্যদিকে রাশিয়া চেচেন বিরোধী লড়াইয়ে বানর সেনা ব্যবহার করেছিল এমন ইতিহাসও পাওয়া যায়। কিন্তু সম্প্রতি নতুন এক পন্থা আবিস্কৃত হয়েছে প্রাচ্যের দেশ আফগানিস্তানে। দেশটির সীমান্তবর্তী এক অঞ্চলে একজন আফগান পুলিশ গুলি করে একটি পাখি হত্যা করে। হত্যার পর সেই পাখির পেটের মধ্যে পাওয়া যায় মানব হত্যার কাজে ব্যবহৃত বোমা।

তবে সেই আফগান পুলিশ যে নেহাত পাখি শিকার করার জন্যই গুলি চালিয়েছিলেন তা নয়। তুর্কমেনিস্তান সীমান্তের কাছাকাছি কয়েকদিন ধরেই আফগান পুলিশের একটি দল সন্দেহজনক কিছু পাখিকে দেখতে পায়। পাখিগুলো সীমান্তের কাটাতার সংলগ্ন স্থানের বাইরে কোথাও যাচ্ছিল না দেখে সন্দেহের সৃষ্টি হয় পুলিশ সদস্যদের মনে। এরপরই মূলত এক আফগান পুলিশ গুলি করে একটি পাখি হত্যা করে।

পাখিটির ডানার পাশে বৈদ্যুতিক তার এবং পেটের মধ্যে মোবাইল ফোন ডেটোনেটর লাগানো ছিল। যা মূলত আত্মঘাতী বোমার ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়। আর দেখতে বিশাল এই পাখিগুলো আফগানিস্তানের ফারিয়াব প্রদেশের না বলে জানিয়েছে স্থানীয়রা।

মেজর জেনারেল আবদুল নাবি একটি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমকে জানান, ‘আমরা সকল তথ্য এবং উপাদান জড়ো করছি, এরমধ্যে আমরা জিপিএস সিস্টেম এবং ক্ষুদে ক্যামেরা পাচ্ছি’। ফারিয়াব প্রদেশে সম্প্রতি বেশ কয়েকবার তালেবান গোষ্ঠি হামলা চালিয়েছে। হামলা পরবর্তী সময়ে স্থানীয় সেনাবাহিনীর হাতে পর্যাপ্ত অস্ত্র-গোলাবারুদ নেই বলেও জানান মেজর জেনারেল। কোনো কোনো সময় দুই শতাধিক তালেবান যোদ্ধা একযোগে সীমান্তবর্তী তল্লাসিচৌকিতে হামলা চালায় বলেও জানা যায়।

এদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ২০১৪ সালের মধ্যে আফগানিস্তান থেকে সকল মার্কিন সেনা চলে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু শেষ মুহূর্তে ওবামার এক গোপন সিদ্ধান্তের কারণে আফগানিস্তানে আরও এক বছর মার্কিন বাহিনী অবস্থান করবে বলে জানা গেছে। আর এসময় মার্কিন বাহিনী আফগান সেনাবাহিনীকে সবরকম সহায়তা করবে বলে জানা যায়।



মন্তব্য চালু নেই