পাকিস্তানে আট ভারতীয় গুপ্তচরের পরিচয় ফাঁস

পাকিস্তানে নিযুক্ত আটজন ভারতীয় কূটনীতিককে গুপ্তচর হিসেবে চিহ্নিত করে তাদের পরিচয় প্রকাশ করা হয়েছে পাকিস্তানী সংবাদমাধ্যমে।

এ ঘটনায় ওই আট কূটনীতিককে প্রত্যাহার করে দেশে ফিরিয়ে নেয়ার কথা জানিয়েছে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র।

পাকিস্তানের ইংরেজি দৈনিক ডনে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চিহ্নিত এ আট কর্মকর্তা ইসলামাবাদে ভারতীয় হাইকমিশনে অবস্থান করে গুপ্তচরবৃত্তি করে আসছিল।

তারা হলেন, বাণিজ্যিক কাউন্সিলর রাজেশ কুমার অগ্নিহোত্রি, ফার্স্ট সেক্রেটারি (প্রেস ও সংস্কৃতি) বলবীর সিং, ফার্স্ট সেক্রেটারি (বাণিজ্য) অনুরাগ সিং, ভিসা অ্যাটাশে অমরদ্বীপ সিং ভাট্টি, ভিসি অ্যাসিস্টেন্ট ধর্মেন্দ্র, বিজয় কুমার ভার্মা ও মাধবন নন্দ কুমার এবং অফিস সহকারী জয়াবালান সেন্থিল।

পাকিস্তানী সংবাদমাধ্যমের দাবি, অভিযুক্ত কর্মকর্তারা ভারতীয় গুপ্তচর সংস্থা রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালাইসিস উইং-র’ অথবা ইন্টিলিজেন্স ব্যুরো-আইবির হয়ে কাজ করছিলেন।

তারা চীন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডর-সিপিইসিকে ব্যাহত করার চেষ্টাসহ বিভিন্ন নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড এবং পাকিস্তান জুড়ে তথ্যজাল তৈরি করে বিদেশে দেশটির ভাবমর্যাদা ধ্বংসের বিভিন্ন উদ্যোগে সম্পৃক্ত ছিলেন বলেও দাবি পাকিস্তানের।

এদিকে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সূত্রের বরাতে জানিয়েছে, পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যমে আট কূটনীতিকের নাম-পরিচয় প্রকাশ করে সুনামহানি করায় তাদের দেশে ফিরিয়ে নেয়া হবে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যমটি বলছে, গত সপ্তাহে নয়াদিল্লিতে পাকিস্তান হাইকমিশনে কর্মরত ছয় কমকর্তাকে প্রত্যাহারের পর ইসলামবাদ থেকে ভারতীয় কর্মকর্তাদের প্রত্যাহারের এ সিদ্ধান্ত এলো।

পাকিস্তান হাইকমিশনের কর্মকর্তা মাহমুদ আখতারকে স্পর্শকাতর গোয়েন্দা নথিপত্রসহ দিল্লি চিড়িয়াখানা থেকে গ্রেফতারের পর পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে তিনি জানান, ওই ছয় কর্মকর্তা গুপ্তচরবৃত্তিতে জড়িত। এরপর তাদের বহিষ্কার করে ভারত।

এছাড়া জিজ্ঞাসাবাদে আখতার দিল্লি পুলিশ এবং গোয়েন্দা সংস্থাকে জানান, পাকিস্তানে হাইকমিশনে কর্মরর্ত মোট ১৬ জন কূটনীতিক ভারতের সামরিক বাহিনী এবং সীমান্তরক্ষী বাহিনী-বিএসএফ মোতায়েনের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংগ্রহ ও পাচারের সঙ্গে জড়িত।



মন্তব্য চালু নেই