পাকিস্তানের মাজারে উন্মত্ত খাদেম, নিহত ২০

পাকিস্তানের পুলিশ বলছে, পাঞ্জাব প্রদেশে এক মাজারের খাদেমের হাতে কমপক্ষে ২০ ব্যক্তি নিহত হয়েছে। জানা যাচ্ছে, আবদুল ওয়াহিদ নামে ঐ খাদেম আক্রান্ত ব্যক্তিদের প্রথমে মাদক সেবন করায় এবং তার পর তাদের চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে।পুলিশের একজন কর্মকর্তা বলছেন, ঐ খাদেম মানসিকভাবে ভারসাম্যহীন বলে তাদের মনে হয়েছে।

পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের সারগোদা শহরে এই দরগার পীর হচ্ছেন মোহাম্মদ আলী গুজ্জর নামে এক ব্যক্তি । অন্তত ২০ জন মুরিদের রোমহর্ষক হত্যাকাণ্ডের জন্য পুলিশ মাজারের প্রধান খাদেম আব্দুল ওয়াহিদকেই সন্দেহ করছে।তাকে এবং তার সহযোগী কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে। সারগোদা পুলিশের ডেপুটি কমিশনার লিয়াকত আলী চাট্টা এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, খাদেম আব্দুল ওয়াহিদ মানসিক রোগী বলে তারা সন্দেহ করছেন। কারণ ঐ খাদেম নাকি সন্দেহ করছিল যাদেরকে সে হত্যা করেছে, তারা নাকি তাকে হত্যার ষড়যন্ত্র করছিলো।

কিভাবে হত্যাকাণ্ড চালানো হয় তার বর্ণনা দিয়ে চাট্টা বলছিলেন, যে তিনজনকে সন্দেহভাজন হিসাবে আটক করা হয়েছে, তারা এক এক করে মুরিদদের ঘরে ঢোকায়।তাদেরকে বিষ মেশানো খাবার খাওয়ানো হয়। তারপর ছুরি ও ডাণ্ডা দিয়ে তাদের হত্যা করা হয়।

আটকের পর দরগার খাদেম পুলিশকে বলেছে, তার সন্দেহ এই মুরিদরা তার পূর্বসূরি আলী আহমেদ গুজ্জরকে বিষ খাইয়েছিল। এখন তাকে বিষ খাইয়ে মারার পরিকল্পনা করছে।
একজন মহিলা মুরিদ আব্দুল ওয়াহিদের ঘর থেকে কোনোরকম পালিয়ে গিয়ে শোরগোল শুরু করলে ঘটনা ফাঁস হয়ে পড়ে। একজন চিকিৎসক জানিয়েছেন, নিহতদের ঘাড়ে কোপানোর আলামত রয়েছে।

তাছাড়া শরীরের নানা জায়গায় ছুরি এবং লাঠির আঘাত রয়েছে। কেন এই মুরিদদের নৃশংস কায়দায় হত্যা করা হলো — সেই মোটিভ এখনো পরিষ্কার নয়। তবে, দরগার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে শত্রুতা এবং রেষারেষি থেকেই এই ঘটনা ঘটে থাকতে পারে।

জানা গেছে, দরগার ওরস উপলক্ষে বহু মুরিদ সেখানে হাজির হয়েছিলেন। তাদের ক’জনই এই নৃশংসতার শিকার হয়েছেন।-সূত্র: বিবিসি বাংলা।



মন্তব্য চালু নেই