পশ্চিমবঙ্গে চতুর্থ দফার ভোট শুরু

পশ্চিমবঙ্গের চতুর্থ দফায় ভোট গ্রহণ হচ্ছে আজ। সকাল সাতটা থেকেই শুরু হয়েছে ভোট গ্রহণ। রাজধানী কলকাতার লাগোয়া উত্তর চব্বিশ পরগনা এবং হাওড়া জেলার ৪৯ টি বিধানসভা আসনে সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত ভোট নেওয়া হবে। ভোট কেন্দ্র গুলোতে সকাল থেকেই নারী-পুরুষদের উৎসাহ নিয়ে ভোট দিতে দেখা যাচ্ছে।

আজ ১ কোটি ৮ লাখ ১৭ হাজার ভোটার ৩শ ৪৫ জন প্রার্থীর ভাগ্য নির্ধারণ করবেন। ১২ হাজার ৪৮১ বুথের মধ্যে উত্তর চব্বিশ পরগনার ২ হাজার ৩শ ২৩ টি এবং হাওড়ায় ৬শ ৪৩ টি বুথকে অতিস্পর্শকাতর বলে চিহ্নিত করে সেখানে বাড়তি নজরদারি করবে কমিশন।

এই প্রথম নির্বাচন কমিশন ভোট গ্রহনের ৪৮ ঘন্টা আগে থেকেই জেলা জুড়ে ১৪৪ ধারা জারি করেছে। শুধু তাই নয় গোটা জেলায় নির্বাচন কমিশন হেলিকপ্টারের নজরদারি চালাচ্ছে। ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত এলাকাতে নিরাপত্তা জোরদার করেছে কমিশন। বনগাঁর পেট্টাপোল এবং বসিরহাটের গোজাডাঙা সীমান্তে জিরোপয়েন্ট ঘেষে কমিশন বিশেষ নজরদারি চালাচ্ছে।

ভোট গ্রহণের সময় সংঘর্ষ করতে পারে এমন দুই জেলায় (উত্তর ২৪ পরগনায় ৩ হাজার ৭শ৮১ জন এবং হাওড়ায় ১ হাজার ৭শ ৩ জন) সন্দেহভাজন ব্যক্তির তালিকা তৈরি করেছে প্রশাসন। এদের ওপরও পুলিশ ও গোয়েন্দারা নজরদারি চলাবে সারাদিন।

তৃতীয় দফায় ভোটের দিন মুর্শিদাবাদের ডোমকলে বোমা-গুলির লড়াইয়ে এক সিপিএম প্রার্থীর এজেন্টের মৃত্যু হয়। এই ঘটনার যেন পুর্ণাবৃত্তি না হয় সেজন্য স্পর্শকতার বুথ গুলোর বাইরে অতিরিক্ত কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করেছে কমিশন। এছাড়াও বিশেষ নজরদারি রাখতে সিসিটিভিও বসানো হয়েছে। আজ দুই জেলায় ৬শ ৭২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবে। এছাড়াও কমিশনের বিশেষ পর্যবেক্ষক হিসাবে থাকবেন ১শ ২০ জন।

রাজ্যের শাসক তৃণমূলের সঙ্গে এই দুটি জেলায় প্রধান লড়াই হচ্ছে কগ্রেস এবং বামফ্রন্টের গণতান্ত্রিক জোটের। বর্তমান তৃণমূলের রাজ্য সরকারের দেড় ডজন মন্ত্রী ও নেতার ভাগ্য নির্ধারণ হয়ে যাবে আজই। এর মধ্যে আছেন অর্থমন্ত্রী ড. অমিত মিত্র, খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতপ্রিয় মল্লিক, খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ মন্ত্রী অরুপ রায়, ক্রীড়ামন্ত্রী ও জেলে বন্দি মদন মিত্র, স্বাস্থ্য ও আইনমন্ত্রী ড. চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, সেলিব্রেটি প্রার্থী অভিনেতা চিরঞ্জিত চক্রবর্তী, অভিনেত্রী রুপা গঙ্গোপাধ্যায়।



মন্তব্য চালু নেই