পশ্চিমবঙ্গে আবারও দুই আলু চাষীর আত্মহত্যা
পশ্চিমবঙ্গে শুক্রবার আবারও দুই আলু চাষী আত্মহত্যা করেছে। আলুর ন্যায্য দর না পাওয়াকেই দায়ী করছেন তাঁদের বাড়ির লোকজন। আলুর দর না পেয়ে এই নিয়ে রাজ্যে অন্তত আট জন চাষি আত্মহত্যা করলেন ।
মৃত দুই কৃষকের এক জনের বাড়ি জামালপুরে, অন্য জন কালনায়। দু’জনেই ঋণ নিয়ে পাঁচ বিঘা করে জমিতে আলু চাষ করেছিলেন। প্রথমে নাবিধসা রোগে ফলনের ব্যাপক ক্ষতি হয়। মোটা টাকা খরচ করে যেটুকু বাঁচানো গিয়েছিল, বাজারে দর পড়ে যাওয়ায় তারও দাম মেলেনি। ঋণও শোধ করা যায়নি। দুই চাষিই শুক্রবার কীটনাশক খান। জামালপুরের চাষির নাম প্রসাদ ওরফে অতুল লেট (৪০)। তাঁর বাড়ি বিষ্ণুবাটি গ্রামে। শুক্রবার সকালে চাষের জমির পাশে তাঁকে পড়ে থাকতে দেখা যায়। আত্মীয়রা তাঁকে চকডিহি গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখান থেকে জামালপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে, দুপুরে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আনা হয় তাঁকে। এ দিন সকালে সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়।
অতুল লেটের স্ত্রী পার্বতী জানান, ‘আমার স্বামী ভাগচাষ করেন। ধার করে চাষ করেছিলেন। ভেবেছিলেন, আলু বিক্রি করে ঋণ শোধ করবেন। কিন্তু নাবিধসার কারণে ফলন প্রায় ১০০ বস্তা কম হয়। তার পরে দাম পাওয়া যায়নি। সেই হতাশাতেই উনি আত্মহত্যা করেছেন।’
শুক্রবার রাতে কালনা ২ ব্লকের বড়ধামাস পঞ্চায়েতের শিবরামপুর গ্রামেও বিজয় হাঁসদা (৩৮) নামে এক আলুচাষির মৃত্যু হয়। তাঁর ভাই সঞ্জয় হাঁসদার দাবি, ‘গত বার আলুতে ভাল লাভ হওয়ায় এ বার অনেক মহাজন চাষের জন্য টাকা ধার দিয়েছিলেন। আলু ওঠার পরে পাওনাদাররা বাড়িতে এসে তাগাদা দিচ্ছিল।’
গ্রামবাসী জানান, এ বার এলাকায় নাবিধসায় বড় ক্ষতি হয়েছে। যা-ও বা বেঁচেছিল, শেষ দিকে বস্তা পিছু ১০০ টাকাও পাওয়া যায়নি।
মন্তব্য চালু নেই