পর্দা উঠলো ব্রাজিল বিশ্বকাপের
জোহানেসবার্গের পর সাও পাওলো। চার বছরের ব্যবধানে আবার এক ছাতার নিচের সারা বিশ্বের ক্রীড়াপ্রেমীরা। সাদা-কালো-লাল-পীত-তামাটে সব ধরনের মানুষ এক সুর আর এক গানে। ওলে ওলার ছন্দে পেলের দেশের শহর সাও পাওলোতে দ্বিতীয় বারের মতো মাঠে গড়ালো বিশ্বকাপ ফুটবল। ১৯৫০ এর পর ২০১৪ সালে।
বর্ণিল রঙ আর কার্নিভালের ছোঁয়ায় ব্রাজিলের সাও পাওলোর কারিন্থিয়াস স্টেডিয়ামে ৬৮ হাজার দর্শকের উপস্থিতিতে এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠান হয়। ইতিহাসের সবচেয়ে ব্যয়বহুল বিশ্বকাপের আয়োজন করে ভিন্ন এক মাত্রিকতা স্থাপন করতে চেয়েছিল ২০তম বিশ্বকাপের আয়োজক দেশ ব্রাজিল। কিন্তু বঞ্চিত মানুষের বিক্ষুব্ধ প্রতিবাদ ও অবরোধে কিছুটা ফ্যাকাশে হয় ব্রাজিল বিশ্বকাপের উদ্বোধনী মহাযজ্ঞ।
বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সময় রাত ১২টার কিছুক্ষণ পরে বিশ্বকাপের পর্দা উঠানোর পর্ব শুরু হয়। যখন অনুষ্ঠানের শুরুতেই এক দল শিল্পী ব্রাজিলের ইতিহাস ও ঐতিহ্যকে সাথে করে মনোমুগ্ধকর উপস্থাপনা নিয়ে আসে। যেন সদ্যই বিশ্বের সবচেয়ে বড় রেইনফরেস্ট আমাজান থেকে উঠে এসেছে তারা! কারণ, সবার গায়েই যে তখন স্বল্প আদিবাসী পোশাক। আর মাথায় তৃণ মুকুট।
এর পর বিশেষ রোবোটিক পোশাকে হুইল চেয়ার থেকে উঠে এসে বলে শট করেন এক প্রতিবন্ধী। মিগুয়েল নিকোলেসিস নামের একজন ব্রাজিলীয় চিকিৎসকই উদ্বোধনীতে এই চমক আনেন। বিশ্বের খ্যাতনামা ১৫৬ জন বিজ্ঞানীর সহায়তায় লৌহমানবের মতো বিশেষ এই রোবোটিক পোশাক তৈরি করেন ওই ব্রাজিল চিকিৎসক।
সবশেষে বিশ্বকাপের অফিসিয়াল গান ‘ওলে ওলা’র ছন্দে মাতেন জেনিফার লোপেজ, পিটবুল ও ক্লদিয়া লেইতে। এর মাঝে অবশ্য দাঁড়বাজি, ফ্লিম্যাশ শোয়ের চোখ ধাঁধানো উপস্থাপনায় পুরো ব্রাজিলকে ক্রীড়ামোদীদের কাছে তুলে ধরার চেষ্টা করেন বেলজিয়াম অর্টিস্টিক ডিরেক্টর ডাফনে কর্নেজ। এসব আলোর অ্যাঙ্গেল তৈরির মাধ্যমে একটি বলের প্রতিকৃতি দেখানো হয়।
মন্তব্য চালু নেই