পরাজয় মেনে নিয়েছেন এড মিলিব্যান্ড

ভোটের আগের জরিপে দুই দলের মধ্যে তীব্র লড়াইয়ের আভাসই পাওয়া যাচ্ছিলো। কিন্তু ভোটের হিসেব পাল্টে দিলো সব চিত্র। স্পষ্ট ব্যাবধানে জিততে চলেছে ক্ষমসাসীন কনজারভেটিভ পার্টি।

এদিকে ভোটের পুরো ফলাফল আসার আগেই নিজের পরাজয় মেনে নিয়েছেন প্রতিদ্বন্দ্বী লেবার পার্টির নেতা এড মিলিব্যান্ড। দলের জন্য গত রাতকে খুবই হতাশাব্যঞ্জক ও কঠিন বলে বর্ণনা করে গভীরভাবে দুঃখ প্রকাশ করেছেন তিনি।

একইসাথে প্রধানমন্ত্রী ক্যামেরন সামনের দিনে সরকার গঠনের ব্যাপারে আশা প্রকাশ করেছেন তিনি।

নির্বাচনের ফলাফল বলছে, যুক্তরাজ্যের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরনের কনজারভেটিভ দল আরও পাঁচ বছরের জন্য দেশ শাসন করার ক্ষমতা পাচ্ছে। সব হিসাব-নিকাশ উল্টে সবাইকে চমক দিয়ে দেশটির সাধারণ নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে যাচ্ছে দলটি।

নির্বাচনের সম্ভাব্য ফলাফল নিয়ে বিবিসির পূর্বাভাসে জানানো হয়, ৬৫০টি আসনের মধ্যে ৩২৯ টিতে জয় পেতে পারে কনজারভেটিভ দল। তাদের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী লেবার দল জিততে পারে ২৩৩টি আসনে।

যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ ‘হাউস অব কমন্সে’ (প্রতিনিধি সভা) ৬৫০টি আসন। সরকার গঠনে প্রয়োজন ন্যূনতম ৩২৬ আসন।

এবারের নির্বাচন নিয়ে সবগুলো জরিপেই বলা হয়েছিল, প্রধান দুই দলের কোনোটি একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে না এবং জোট সরকার গঠিত হতে পারে।

এবার কনজারভেটিভ পার্টি ৬৪৮ আসনে প্রার্থী দেয়। লেবার ও লিবারেল ডেমোক্র্যাটস উভয় পার্টির প্রার্থীসংখ্যা ৬৩১ জন করে। নির্বাচনী সংস্কৃতি অনুযায়ী এই তিন দল স্পিকার জন বার্কোর আসনে প্রার্থী দেয়নি। অভিবাসনবিরোধী ইউকে ইনডিপেনডেন্ট পার্টি (ইউকিপ) ও গ্রিন পার্টির প্রার্থীসংখ্যা যথাক্রমে ৬২৪ ও ৫৭৩। প্রাদেশিক দল স্কটিশ ন্যাশনালিস্ট পার্টি (এসএনপি) স্কটল্যান্ডে ও প্লেইড কামরি ওয়েলসের আসনগুলোতে লড়াই করেছে।

২০১০ সালের নির্বাচনে কনজারভেটিভ ৩০৭, লেবার ২৫৮ ও লিবারেল ডেমোক্র্যাটস পার্টি ৫৭ আসনে জয়ী হয়েছিল। ওই নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠ আসন না পাওয়ায় লিবারেল ডেমোক্র্যাটসদের সঙ্গে জোট বেঁধে কনজারভেটিভ পার্টি যুক্তরাজ্যের সংসদীয় গণতন্ত্রের ইতিহাসে প্রথম জোট সরকার গঠন করে।



মন্তব্য চালু নেই