পদ্মা সেতু মামলা : বিশ্বব্যাংককে আদালতে নথি জমা দিতে হবে না
বাংলাদেশের পদ্মা সেতু প্রকল্পের কাজ পেতে দুর্নীতির ষড়যন্ত্রের অভিযোগে কানাডার পরামর্শক প্রতিষ্ঠান এসএনসি-লাভালিনের চার প্রাক্তন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলায় বিশ্বব্যাংককে নিজস্ব তদন্তের নথিপত্র আদালতে উপস্থাপন করতে হবে না। শুক্রবার এই রায় দিয়েছেন দেশটির সুপ্রিম কোর্ট।
২০১৪ সালে অন্টারিও সুপিরিয়র কোর্ট অব জাস্টিস বিশ্বব্যাংককে তদন্তের নথিপত্র উপস্থাপনের নির্দেশ দিয়েছিলেন। এ আদেশের বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাংক আপিল করলে কানাডার সুপ্রিম কোর্ট বিশ্বব্যাংকের পক্ষে রায় দিলেন।
বাংলাদেশের পদ্মা সেতুতে দুর্নীতির ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুলে ২০১০ সালে বিশ্বব্যাংক তদন্ত শুরু করে। ওই সময় নিজেদের তদন্তে পাওয়া কিছু তথ্য রয়্যাল কানাডিয়ান মাউন্টেড পুলিশকে (আরসিএমপি) জানায় সংস্থাটি। বিশ্বব্যাংকের অনুরোধে কানাডার মন্ট্রিলে এসএনসি-লাভালিনের কার্যালয়ে অভিযান চালিয়ে প্রতিষ্ঠানটির আন্তর্জাতিক প্রকল্প বিভাগের সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট রমেশ সাহ ও সাবেক পরিচালক মোহাম্মদ ইসমাইলকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ২০১৩ সালের সেপ্টেম্বরে টরন্টোর আদালতে এই দুজনসহ এসএনসি-লাভালিনের সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট কেভিন ওয়ালেস ও বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত কানাডীয় ব্যবসায়ী জুলফিকার ভূঁইয়াকেও মামলায় অভিযুক্ত করা হয়। পরের বছর অন্টারিও সুপিরিয়র কোর্ট অব জাস্টিস বিশ্বব্যাংককে তদন্তের নথিপত্র উপস্থাপনের নির্দেশ দিয়েছিলেন। আন্তর্জাতিক স্বাধীন প্রতিষ্ঠান হিসেবে নিজেদের দায়মুক্তি রয়েছে দাবি করে এই আদেশের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করে বিশ্বব্যাংক।
শুক্রবার রায়ে কানাডার সুপ্রিম কোর্ট বলেন, ‘বিশ্বব্যাংক গ্রুপের দায়মুক্তির আওতায় এর নথিপত্র ও কর্মকর্তারাও রয়েছেন এবং তাদের ছাড় দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া কানাডার আইন অনুযায়ী আন্তর্জাতিক সংস্থাটির নথিপত্র প্রকাশযোগ্য নয়।’
মন্তব্য চালু নেই