পদ্মাপাড় যেন সাংহাই শহর!

পদ্মা সেতু দিয়ে গাড়ি চলতে বাকি আরও প্রায় তিন বছর। কিন্তু এখনই পদ্মার পাড় যেন চীনের সাংহাই। বিশেষ করে রাতের পদ্মার তীর যেন আরও ঝলমলে, আরও আলোকিত। সন্ধ্যার পর সেখানে একযোগে জ্বলে উঠে শত শত আলো। আঁধার ঘনিয়ে আসার আগেই গোটা এলাকা নতুন রূপ ফিরে পায়, ঠিক যেন সাংহাই শহর।
বছর খানেক আগেও এখানে ছিলো ধু ধু বালুচর। ছিল না মানুষের কোলাহল। আর এখনকার দৃশ্য ঠিক তার উল্টো। বালুচরের বুকে এখন শুধুই কাজের ব্যস্ততা, মানে মহাব্যস্ততা। এখানে দিনেরাতে কাজ চলছে সমানতালে। গোটা এলাকাটিই যেন সবসময় জেগে আছে।

p-01_94265_1

নদীর পাড়ে রাখা হয়েছে পাইলিংয়ের জন্য প্রস্তুত লোহার পিলার। কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ডে লোহার পাত কেটে পাইপ বানানোর কাজ চলছে। ইয়ার্ডের পাশেই নদীশাসনের জন্য তৈরি করা হচ্ছে হাজারো সিমেন্ট-কংক্রিটের ব্লক। ব্লক তৈরির কাজে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন শ্রমিকেরা। নদীর মাঝখানে চলছে ৭ নম্বর পিলারের কাজ। এমন মোট ৪২টি পিলারের ওপর দাঁড়াবে পদ্মা সেতু।

p-02_94265_2
পদ্মা সেতুর সার্ভিস এরিয়ায় যখন সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসে তখন দৃশ্যপটও বদলাতে থাকে পদ্মাপাড়ের। পদ্মা তীরের এই সার্ভিস এরিয়ার আলো গুলো যখন জ্বলে উঠে একে সাংহাইই মনে হয়।

p-03_94265_3
তবে পদ্মাপাড়ে সবচেয়ে আকষর্ণ যে ঘরটিকে ঘিরে সেটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্য তৈরি করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর জন্য স্থায়ীভাবে নির্মাণ করা ঘরটির সামনে ২০টিরও বেশি দেশি-বিদেশি প্রজাতির ফুলের বাগান রয়েছে। ঘরের মধ্যে রয়েছে পাঁচ তারকা হোটেলের সকল সুযোগ সুবিধা।

কক্ষটির নাম পদ্মা-১০। ঘরের মালিকের নাম দেশরত্ম শেখ হাসিনা। কেবলমাত্র প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্য সেতু এলাকায় এভাবে ঘরটি সাজানো হয়েছে। কারণ তিনি পদ্মাসেতুর স্বপ্ন পূরণের কারিগর। আগামীকাল শনিবার প্রধানমন্ত্রী তার ঘরে কিছু সময় কাটিয়ে যাবেন।

p-04_94265_4
পদ্মা সেতু এখন আর কেবল স্বপ্ন নয়। ইতিমধ্যে পদ্মা সেতু প্রকল্পের প্রায় ২৭ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। মূল সেতু নির্মাণের কাজও চলছে পুরোদমে। শনিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রকল্পের নদীশাসন ও মূল সেতু নির্মাণকাজের উদ্বোধন করবেন। ২০১৮ সালের মধ্যে এই সেতুর নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার কথা।



মন্তব্য চালু নেই