ধর্ষণের অপমান-ঘৃণায় স্কুলছাত্রীর আত্মহত্যা

বন্দর উপজেলায় ধর্ষণের অপমান সইতে না পেরে লজ্জা-ঘৃণায় আত্মহত্যা করেছে মানছুরা আক্তার (১১) নামে চতুর্থ শ্রেণীর এক ছাত্রী। সে ওই এলাকার মালিবাগ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী।

গত বৃহস্পতিবার রাতে লাঙ্গলবন্দ নগর এলাকায় ঘরের আড়ার সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে সে আত্মহত্যা করে। শুক্রবার দুপুরে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ ১০০ শয্যা (ভিক্টোরিয়া) হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।

মানছুরার বাবা জাকির হোসেন জানায়, গত সোমবার সন্ধ্যায় বাড়ির গেটের সামনে দাঁড়িয়ে ছিল মানছুরা। এক ঘণ্টা পর সে ঘরে ফিরে না আসায় তাকে খুঁজতে বের হন রাস্তায়। ডাকা-ডাকি করতে থাকেন। তখন বাড়ির পাশে জঙ্গলের ভেতরে কান্নার শব্দ পেয়ে এগিয়ে যান। এসময় ওই এলাকার মোতালেব বাক্কুর ছেলে গার্মেন্ট শ্রমিক হাবিবুরকে পালিয়ে যেতে দেখেন তিনি। পরে মেয়েকে বিবস্ত্র অবস্থায় উদ্ধার করে নিয়ে আসেন বাড়িতে।

পরে ওই ছাত্রী তার পরিবারকে জানায়, হাবিবুর তাকে মুখ চেপে ধরে জঙ্গলে নিয়ে ধর্ষণ করেছে। মেয়ের মুখে ঘটনাটি শুনে এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের জানালে তারা বিচার সালিশির মাধ্যমে সমাধান করে দেয়ার আশ্বাস দেন। শুক্রবার বিকেলে সালিশ বৈঠক বসার কথা ছিল। সালিশের কথা শুনে বৃহস্পতিবার রাতেই অপমান আর ঘৃণায় নিজ ঘরের আড়ার সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে মানছুরা।

বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম জানান, লাশ উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। মানছুরাকে ধর্ষণ করা হয়েছে কিনা সে ব্যাপারে চিকিৎসকের মতামত চাওয়া হয়েছে। ওসি আরো জানান, এ ঘটনায় নিহতের ভাই মেরাজ হোসেন ইউডি মামলা করেছেন।



মন্তব্য চালু নেই