পথিকৃৎ অধিকারকর্মী লেউইসকে ট্রাম্পের আক্রমণে ক্ষোভ
মার্টিন লুথারের সমসাময়িক অধিকারকর্মী জন লেউইসকে টুইটের মাধ্যমে আক্রমণ করায় নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছেন।
অধিকারকর্মী ও ডেমোক্রেটিক কংগ্রেসম্যান জন লেউইসকে ‘কথাসর্বস্ব’ ও ‘অকেজো’ বলে মন্তব্য করায় নিন্দার মুখে পড়েছেন ট্রাম্প। তবে এর আগে লেউইস বলেন, ‘ট্রাম্প বৈধ প্রেসিডেন্ট নন।’
এদিকে, ট্রাম্পের মন্তব্যের পর লেউইসের অনুসারী ও সমর্থকরা ট্রাম্পের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেছে বলেছেন, লেউইস ইতিহাসের ‘নায়ক ও পথিকৃৎ ব্যক্তিত্ব’।
১৯৬০-এর দশকে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক অধিকার আদায়ের আন্দোলনে অন্যতম মুখ ছিলেন জন লেউইস। ১৯৬৩ সালের মার্চ মাসে ওয়াশিংটনে মানবতাবাদী নেতা মার্টিন লুথার কিংয়ের নেতৃত্বে যে সমাবেশ হয়েছিল এবং সেখানে যারা বক্তব্য দিয়েছিলেন, তাদের মধ্যে লেউইস অন্যতম। তা ছাড়া, সেই সমাবেশে বক্তব্য প্রদানকারীদের মধ্যে একমাত্র লেউইস-ই বেঁচে আছেন।
২০ জানুয়ারি ট্রাম্পের অভিষেককে কেন্দ্র করে নাগরিক অধিকারকর্মী রেভ আল সার্পটনের নেতৃত্বে সপ্তাহব্যাপী বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। কয়েক হাজার মানুষ হাড়হিম ঠান্ডা উপেক্ষা করে ওয়াশিংটন ডিসিতে মার্টিন লুথার কিং মেমোরিয়ালে জড়ো হয়ে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেন। তারা স্লোগান দিতে থাকে, ‘বিচার নেই, শান্তি নেই’। একে কেন্দ্র করে ক্ষোভ সঞ্চারিত হচ্ছে।
এদিকে, গায়ক জেনিফার হলিডে শনিবার জানিয়ে দিয়েছেন, ট্রাম্পের অভিষেক উপলক্ষে সংগীতায়োজনে গাইবেন না তিনি। এ উপলক্ষে বৃহস্পতিবার সংগীত অনুষ্ঠানে গান পরিবেশন করার কথা ছিল আফ্রিকান আমেরিকান ব্রডওয়ের তারকা হলিডের। ভক্ত-সমর্থকদের চাপের মুখে নিজের নাম প্রত্যাহার করে নিতে হয়েছে তাকে।
ডেমোক্র্যাট জন লেউইস শুক্রবার জানান, তিনি ট্রাম্পের অভিষেক অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন না। কারণ, তার দৃষ্টিতে ট্রাম্প বৈধ প্রেসিডেন্ট নন। তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি, এই লোকটিকে জয়ী করতে রাশিয়ানরা জড়িত ছিলেন। তারা হিলারি ক্লিনটনের প্রার্থিতা নস্যাৎ করে দিয়েছেন।’
এর জবাবে শনিবার টুইট করে ট্রাম্প বলেন, নিজের জেলার মানুষের কল্যাণে কাজ করায় মন দেওয়া উচিত জন লেউইসের। তার এলাকায় অনেক সমস্যা আছে। সেগুলো নিয়ে ভাবা উচিত। আসলে তিনি ‘কথাসর্বস্ব, কোনো কাজের নয়’।
মন্তব্য চালু নেই