‘পতাকার মর্যাদা যেন ক্ষুণ্ণ না হয়’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘আমাদের জাতীয় পতাকার মর্যাদা যেন কখনো ক্ষুণ্ণ না হয়, সেদিকে আমাদের খেয়াল রাখতে হবে। পতাকার মর্যাদা যেন সব সময় শক্ত ও সমুন্নত থাকে।’

বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে শহীদ বদিউজ্জামান প্যারেড গ্রাউন্ডে সেনাবাহিনী আয়োজিত ১২ ল্যান্সারকে ন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ড (জাতীয় পতাকা) প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনা প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টায় এক দিনের সরকারি সফরে হেলিকপ্টারযোগে বগুড়া সেনানিবাসে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী। ২০০৯ সালের জানুয়ারিতে ক্ষমতা গ্রহণের পর গত সাত বছরে এটিই তার প্রথম বগুড়া সফর।

সেনানিবাসে আনুষ্ঠানিকতা শেষে বেলা আড়াইটায় প্রধানমন্ত্রী স্থানীয় আলতাফুন্নেছা খেলার মাঠে জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় বক্তব্য রাখবেন। প্রধানমন্ত্রী জনসভাস্থলে স্থাপিত ডিজিটাল ইলেক্ট্রনিক বোর্ডের মাধ্যমে যে প্রকল্পগুলোর উদ্বোধন এবং ভিত্তি স্থাপন করবেন সেগুলো হলো- নবনির্মিত ১০ তলা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ভবন, আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস, গাবতলী ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশন, বগুড়া শিবগঞ্জ উপজেলার মোকামতলায় পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র, নন্দীগ্রাম উপজেলায় কুন্দরহাট হাইওয়ে পুলিশ আউটপোস্টসহ আনুমানিক ১ হাজার কোটি টাকা ব্যয় সাপেক্ষে ৫০টি উন্নয়ন প্রকল্প।

প্রধানমন্ত্রীর এই সফরকে কেন্দ্র করে জেলা আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে দেখা দিয়েছে প্রাণচাঞ্চল্য। ইতিমধ্যেই পুরো শহর ছেয়ে গেছে ফেস্টুন, ব্যানার, তোরণ আর বিলবোর্ডে দিয়ে।

বগুড়াবাসী মনে করছে, প্রধানমন্ত্রীর এ আগমনে তাদের দীর্ঘদিনের দাবিগুলো পূরণ হবে। বিশেষ করে বগুড়াকে সিটি করপোরেশন অথবা বিভাগীয় শহর হিসেবে এবং বগুড়ায় একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের ঘোষণা দেবেন তিনি।

এদিকে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মমতাজ উদ্দিন বলেছেন, আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বগুড়াকে সিটি করপোরেশন অথবা বিভাগীয় শহর হিসেবে এবং বগুড়ায় একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনে ঘোষণার দাবি প্রধানমন্ত্রীর কাছে জানাবেন তারা



মন্তব্য চালু নেই