নয়াদিল্লির রাষ্ট্রপতি ভবনে রহস্যময় গুহা! চল্লিশ বছর ধরে কারা লুকিয়ে সেখানে?
শনিবার রাতে নয়াদিল্লির রাষ্ট্রপতি ভবনের পিছনদিকে বিজি লাইনসে টহলরত একটি পিসিআর ভ্যানের এক পুলিশকর্মী দেখেন, রাষ্ট্রপতি ভবনের পিছন দিকের পাঁচিল টপকে ঢুকে পড়ছেন দু’জন। সঙ্গে সঙ্গে কন্ট্রোলরুমকে সতর্ক করেন ওই পুলিশকর্মী। রাষ্ট্রপতি ভবনে জঙ্গি হামলা হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি। সঙ্গে সঙ্গে নিরাপত্তা এজেন্সিগুলির মধ্যে শোরগোল পড়ে যায়। শুরু হয় তল্লাশি। শেষ পর্যন্ত এই তল্লাশিতে যা পাওয়া গেল, তাতে রীতিমতো চক্ষু ছানাবড়া হয়ে গিয়েছে পুলিশকর্তা এবং নিরাপত্তা এজেন্সির অফিসারদের।
তল্লাশি চলাকালীন রাষ্ট্রপতি ভবনের পিছন দিকে জঙ্গলের মধ্যে প্রথমে একটি মাজারের খোঁজ পাওয়া যায়। তার পাশেই ছিল একটি রহস্যজনক গুহা। আর সেই গুহায় যাঁরা বাস করতেন, তাঁদের দু’জনের নাম গাজি নুরুল ইসলাম(৬৮) এবং মহম্মদ নুর(৪০)। সম্পর্কে তাঁরা বাবা এবং ছেলে। গাজি নুরুলের দাবি, তিনি চল্লিশ বছর ধরে ওই গুহায় বসবাস করছেন। গুহা সংলগ্ন মাজারে যে প্রণামী জমা পড়ে, তা দিয়েই দিন গুজরান হয় বাবা এবং ছেলের। ওই গুহাটিও নাকি মুঘল আমলের। দু’জনকেই আটক করে দীর্ঘক্ষণ জিজ্ঞাসাবাদ চালায় পুলিশ। ওই বৃদ্ধ দাবি করেন, তাঁর আদি বাড়ি উত্তরপ্রদেশে। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরেই তিনি রাষ্ট্রপতি ভবনের নাকের ডগায় এই গুহায় বসবাস করেন। বাইরে বেরোতে হলে রাষ্ট্রপতি ভবনের পিছনদিকের রাস্তা দিয়ে পাঁচিল টপকেই তাঁরা যাতায়াত করেন। কিন্তু এই দাবি যদি সত্যি হয়, তাহলে এতদিন কীভাবে কড়া নিরাপত্তার ঘেরাটোপে থাকা রাষ্ট্রপতি ভবনের কোনও নিরাপত্তাকর্মীর নজরে তাঁরা পড়লেন না, সেই প্রশ্ন উঠছে। পুলিশ স্বীকার করে নিয়েছে, রাষ্ট্রপতি ভবনের পিছনের জঙ্গলের মধ্যে যে মাজার রয়েছে, তাও জানত না পুলিশ।
তবে রাষ্ট্রপতি ভবনের পিছনের জঙ্গলে এমন মাজার অবশ্য আরও রয়েছে। তার একটির মধ্যে এক ইরানি ভাই এবং বোন দীর্ঘদিন ধরেই বসবাস করেন বলে পুলিশকে উদ্ধৃত করে দাবি করেছে একটি সংবাদমাধ্যম। যদিও, এই রহস্যজনক গুহা বা তার ভিতরে বসবাসকারী বাবা-ছেলের কথা কেউই জানতেন না। তবে জেরা করার পরে অবশ্য গাজি নুরুল ইসলাম এবং তাঁর ছেলে মহম্মদ নুরকে ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ।
মন্তব্য চালু নেই