ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় সনিয়া, রাহুলকে আদালতে হাজিরা দিতে সমন
দিলীপ মজুমদার (কলকাতা): সমন জারি হল সনিয়া গাঁধী, রাহুল গাঁধীর বিরুদ্ধে।মা-ছেলের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা রুজু করেছেন বিজেপি নেতা সুব্রহ্মন্যম স্বামী।অধুনালুপ্ত ন্যাশনাল হেরাল্ড পত্রিকার মালিকানা দখল করতে গিয়ে প্রতারণা ও তহবিল নয়ছয় করেছেন কংগ্রেস সভানেত্রী ও দলের সহ সভাপতি, এমনই অভিযোগ স্বামীর।সে ব্যাপারেই অভিযুক্ত হিসাবে সনিয়া, রাহুলকে ৭ আগস্ট দিল্লির এক আদালতে হাজিরা দিতে বলে সমন পাঠিয়েছেন মেট্রপলিটান ম্যাজিস্ট্রেট গোমতী মানোচা।তাঁদের পাশাপাশি সমন জারি হয়েছে এআইসিসি-র কোষাধ্যক্ষ মোতিলাল ভোরা, সাধারণ সম্পাদক অস্কার ফার্নান্ডেজ, গাঁধী পরিবারের ঘনিষ্ঠ সাংবাদিক সুমন দুবে ও স্যাম পিত্রোদার বিরুদ্ধেও স্বামীর আনা প্রতারণা, তহবিল তছরূপ ও ফৌজদারি আস্থাভঙ্গের অভিযোগে প্রাথমিক সারবত্তা আছে বলে জানিয়েছেন মানোচা।
রাহুল, সনিয়া ও বাকি যাঁদের নামে সমন জারি হয়েছে, তাঁরা সকলেই ইয়ং ইন্ডিয়ান লিমিটেড নামে একটি কোম্পানির ডিরেক্টর।২০১০ সালে তৈরি হয় কোম্পানিটি।ন্যাশনাল হেরাল্ড-এর প্রকাশক অ্যাসোসিয়েটেড জার্নালস লিমিটেড (এজিএল)-এর স্বামীর অভিযোগ, কংগ্রেসের কাছে ।এজিএলের ৯০ কোটি ২৫ লক্ষ টাকা দেনা ছিল ইয়ং ইন্ডিয়ান লিমিটেড সেই দেনার অর্থ আদায় করার আইনি অধিকার পায়। এজন্য মাত্র ৫০ লক্ষ টাকা দেন সনিয়া, রাহুল ও বাকি অভিযুক্তরা। প্রতারণা, ও তহবিল নয়ছয়ের ষড়যন্ত্র করেছিলেন তাঁরা। এভাবে ন্যাশনাল হেরাল্ড-এর প্রচুর টাকার সম্পত্তি হাতবদল হয়ে চলে যায় ইয়ং ইন্ডিয়ান লিমিটেডের কাছে।আর ওই কোম্পানির মালিকানার ৭৬ শতাংশ শেয়ারই সনিয়া, রাহুলের হাতে।বাকি ২৪ শতাংশ শেয়ারের মালিক বাকি অভিযুক্তরা। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪০৩, ৪০৬ ও ৪২০ ও ১২০ (বি) অর্থাত ফৌজদারি চক্রান্তের ধারায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে অভিযোগকারীর তোলা অভিযোগের প্রাথমিক ভিত্তি রয়েছে বলে মনে হচ্ছে।।
মন্তব্য চালু নেই