নৌপথে যাত্রী পরিবহণে কঠোর নজরদারি : নৌমন্ত্রী

নৌমন্ত্রী শাজাহান খান বলেছেন, ‘ঈদে যাত্রী পরিবহণে লঞ্চে লোড লাইনের বেশি লোক ওঠাতে পারবে না কেউ। এবার নৌপথে যাত্রী পরিবহণের ক্ষেত্রে কঠোর নজরদারি থাকবে।’

রোববার দুপুরে রাজধানীর মতিঝিলে বিআইডব্লিউটিএ ভবনের সম্মেলন কক্ষে নৌপরিবহণ মন্ত্রণালয় আয়োজিত মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন। আসন্ন পবিত্র ঈদুল ফিতর-২০১৫ উপলক্ষে নৌপথে যাত্রীদের সুষ্ঠু ও নিরাপদ চলাচল নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে সংশ্লিষ্টদের নিয়ে এ মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়।

এ সময় তিনি আরো বলেন, ‘ঈদে যাত্রী পরিবহণের ক্ষেত্রে লঞ্চগুলোর ওপর কড়া নজরদারি থাকবে যাতে কেউ অতিরিক্ত যাত্রী তুলতে না পারে। কারণ এবারের ঈদ হবে ভরা বর্ষার সময়। দুর্ঘটনা ঘটুক আমরা তা চাই না।’

মন্ত্রী জানান, ২০০৪ সালে যেখানে ৩১টি দুর্ঘটনা ঘটেছে, সেখানে ২০১৫ সালে দুর্ঘটনা ঘটেছে ২০টি। ২০০৯ সালের ১৬টি এবং ২০১৫ সালে মাত্র ৫টি দুর্ঘটনা ঘটেছে।

মন্ত্রী বলেন, ‘নৌপথে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে পেরেছি। নতুন নতুন জাহাজ আসছে। এ পর্যন্ত নয়টি জাহাজ এসেছে। মধুমতি নামের আরেকটি জাহাজ আনা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যেকোনো দিন এটি উদ্বোধন করবেন।’

অতিরিক্ত যাত্রীর কারণে প্রতিবছরই লঞ্চডুবির ঘটনা ঘটছে। গত বছর ৪ আগস্ট মাদারীপুরের কাওড়াকান্দি থেকে মাওয়া ঘাটে আসার পথে পদ্মায় এমভি পিনাক-৬ নামের একটি লঞ্চ ডুবে যায়। এতে শতাধিক মানুষ নিহত ও নিখোঁজ হন। অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহণের কারণে ওই দুর্ঘটনা ঘটে।

এ দুর্ঘটনার পর ১১টি ছোট লঞ্চসহ বর্ষার মৌসুমে বেশ কয়েকটি লঞ্চ বন্ধ করে দেওয়া হয়। বর্ষার সময় সব ছোট লঞ্চের চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হবে বলেও জানান মন্ত্রী।

প্রত্যেক লঞ্চে লাইফ জ্যাকেট রাখতে এবং যাত্রীদের লাইফ জ্যাকেট পড়তে পরামর্শ দেন নৌমন্ত্রী। এ ছাড়া প্রত্যেক লঞ্চে দক্ষ চালক নিয়োগের জন্যও বলেন শাজাহান খান।

মতবিনিময় সভায় নৌ-সচিব শফিক আলম মেহেদী, বিআইডব্লিইউটিএ চেয়ারম্যান কমোডর ম মোজাম্মল হক, বিআইডব্লিউটিসির চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব, পুলিশ সদর দফতরের ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তা, সড়ক পরিবহণ ও সেতু মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব, বিআরটিএ, সড়ক ও জনপথ অধিদফতর, বিজিএমই, লঞ্চ মালিক সমিতি, নৌ-পুলিশের প্রতিনিধি, বিভিন্ন জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট বিভাগের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।



মন্তব্য চালু নেই