নেপালে পেট্রোল বিক্রি নিষিদ্ধ
নেপালে সংবিধান বিরোধীদের দ্বারা সংগঠিত জ্বালানী সংকট মোকাবেলায় সকল ব্যক্তিগত যানবাহনের জন্য পেট্রোল বিক্রি বন্ধ করে দিয়েছে দেশটির সরকার। সরকারি কর্মকর্তারা জানান, অন্তত তিনদিন পর্যন্ত এই নিষেধ চলবে তবে জরুরি যানবাহনের ক্ষেত্রে এটা প্রযোজ্য নয়।
রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানায়, নেপালের দক্ষিণাঞ্চলে সম্প্রতি সংবিধান বিরোধীদের আন্দোলনের মুখে শত শত ভারতীয় তেল বোঝাই লরি সীমান্তে আটকে আছে। তাই সম্ভাব্য জ্বালানি সংকট মোকাবেলায় সরকার এ পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হয়। তবে অনেকেই বলেন, ভারত নেপালের সংবিধানকে অসমর্থন করে সেদেশ থেকেই তেল রপ্তানী আটকে দিয়েছে। যদিও ভারত এ অভিযোগ নাকচ করে দিয়েছে।
নেপাল তেল কর্পোরেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক গোপাল বাহাদূর খাদকা বলেন, আমরা নতুন নিষেধাজ্ঞা এনেও জরুরি যানবাহন যাতে পর্যাপ্ত জ্বালানী পায় সেজন্য ইতোমধ্যে ব্যবস্থা নিয়েছি। যদিও মুষ্ঠিমেয় কিছু তেল ভর্তি লরি নেপালের সীমান্ত পাড়ি দিয়ে ভেতরে প্রবেশ করছে কিন্তু প্রায় ৬০ ভাগ তেলের যোগানই দেশটির প্রধান সীমান্তে আটকে আছে।
ইতোমধ্যে নেপালে ভারত বিরোধী গণআক্রোশ চরম আকার ধারন করেছে। নেপালের একজন সিনিয়র সংসদ সদস্য বলেন, নেপালের অবরোধ সেদেশের জনগণের মাধ্যমে সংগঠিত হচ্ছে না বরং এক্ষেত্রে ভারতই বেশি দায়ী। সীমান্তে যা ঘটছে তা ভারতের ইচ্ছাতেই ঘটছে।
দিল্লি এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে এবং দক্ষিণ নেপালে সংবিধানের উপর উত্তেজনা প্রশমনের জন্য নেপালের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।
এদিকে আর একটি গণমাধ্যম বিবৃতিতে জানা যায়, নেপালে পুলিশ ও আন্দোলনকারীদের মধ্যে সংঘর্ষে এ সপ্তাহে অন্তত ৪০ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। গত বুধবারে কাঠমুন্ডুতে পেট্রোল পাম্পগুলোতে হাজার হাজার যানবাহনের দীর্ঘ সারি দেখা গেছে।
নেপালের নতুন সংবিধান নিয়ে দেশটির কতিপয় সংখ্যালঘু ক্ষুদ্র গোষ্ঠী অসুন্তুষ্ট।
মন্তব্য চালু নেই