‘নির্বাচনে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী প্রভাব বিস্তার করবে না’
আগামী ৮ নভেম্বর মিয়ানমারে অনুষ্ঠিতব্য সাধারণ নির্বাচনে সেনাবাহিনী কেনো ধরণের প্রভাব বিস্তার করবে না বলে নিশ্চিত করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট থেইন সেইন। শুক্রবার রাতে রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে দেওয়া জাতি উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে এ নিশ্চয়তা প্রদান করেন তিনি ।
৫০ বছর সামরিক শাসনে থাকার পর সর্বশেষ ২০১১ সালে মিয়ানমারে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। তবে বেসামরিক সরকার গঠন করা হলেও পেছন থেকে কলকাঠি নাড়ছে সামরিক বাহিনী। ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি (এনএলডি) নেত্রী সু চি যাতে নির্বাচনে অংশ নিতে না পারেন সে জন্য সংবিধানের ধারায় পরিবর্তনও এনেছে সেনাবাহিনী প্রভাবিত সরকার। বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলনে সু চি অভিযোগ করেছিলেন, এই নির্বাচন ‘প্রতারণামূলক’হতে পারে।
প্রেসিডেন্ট থেইন সেইন বলেন, ‘ আমি উদ্বেগের কথা শুনেছি। তবে নির্বাচনের ফলাফলকে সম্মান জানানো হবে। আমাদের সরকার ও সেনাবাহিনী আবারও বলতে চায় স্বচ্ছ ও স্বাধীন নির্বাচনের ফলকে সম্মান জানানো হবে।’
তিনি বলেন, ‘ নির্বাচনের ফলের ওপর ভিত্তি করে নতুন রাজনৈতিক যুগে আমরা একসঙ্গে কাজ করব।’
প্রসঙ্গত, প্রেসিডেন্ট থেইন সেইন ক্ষমতাসীন ইউনিয়ন সলিডারিটি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টির চেয়ারম্যান। সেনাবাহিনীর সঙ্গে দলটি ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে।
মন্তব্য চালু নেই