নির্বাচনে বাদ পড়ছেন আহমাদিনেজাদ
ইরানের আগামী প্রেসিডেন্ট পদে নির্বাচন করতে নিবন্ধন করেছিলেন বিশ্বজুড়ে খ্যাতি পাওয়া দেশটির দুই বারের প্রেসিডেন্ট আহমাদিনেজাদ। কিন্তু আগামী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে তাকে ‘অযোগ্য’ ঘোষণা করা হয়েছে। দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদ মাধ্যমের খবরে জানানো হয়েছে, সরকার নিয়ন্ত্রিত প্রার্থী যাচাই-বাছাই পরিষদ গার্ডিয়ান কাউন্সিল এ সিদ্ধান্ত জানিয়েছে।
পশ্চিমাদের বিশেষ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইলের কড়া সমালোচনার জন্য পরিচিত আহমাদিনেজাদ। প্রেসিডেন্ট হয়েও তার সাদা-মাটা নাগরিক জীবন সব সময় ছিল বিশ্ব মিডিয়াতে আলোচনার খবর। তিনি ২০০৫ ও ২০১৩ সালের মধ্যে দুই মেয়াদে প্রেসিডেন্ট ছিলেন। তার সময়েই ইরানের পারমানবিক কর্মসূচি এগিয়ে যায়। আমেরিকার কড়া বিরোধিতা উপেক্ষা করে সেই কর্মসূচি চালিয়ে গিয়েছিলেন তিনি।
আগামী মে মাসে ইরানে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সেই নির্বাচনের প্রার্থীদের চূড়ান্ত তালিকা ঘোষণা করা হবে ২৭ এপ্রিল। তবে ছয় প্রার্থীকে নির্বাচনের প্রস্তুতি নেয়ার সবুজ সংকেত দিয়েছে গার্ডিয়ান কাউন্সিল। তাদের মধ্যে বর্তমান প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি ও দেশটির শীর্ষ কট্টরপন্থী নেতা ইব্রাহিম রাইসি রয়েছেন।
ইরানের মিডিয়া জানিয়েছে, প্রার্থী না হতে আহমাদিনেজাদকে পরামর্শ দিয়েছিলেন দেশটির শীর্ষ আধ্যাত্মিক নেতা আয়াতুল্লাহ আল খামেনি। কিন্তু আহমাদিনেজাদ নিজের প্রার্থিতা ঘোষণা করেন। আহমাদিনেজাদের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত হামিদ বাগাইকেও নির্বাচনে ‘অযোগ্য’ ঘোষণা করা হয়েছে।
তখন আহমাদিনেজাদ বলেছিলেন, উন্নত ইরানের জন্য দলীয় সিদ্বান্তে তিনি নির্বাচন করছেন। তিনি মনে করেন, আঞ্চলিক যোগাযোগ উন্নত করার মাধ্যমে ইরানের অর্থনীতিকে আরো সমৃদ্ধ করা যায়।
ইরানের নির্বাচন পদ্ধতিতে প্রেসিডেন্ট পদে নির্বাচনে ইচ্ছুকদের বাছাই করে গার্ডিয়ান কাউন্সিল। এটি দেশটির আইন স্বীকৃত সর্বোচ্চ কাঠামোর অধিকারী প্রতিষ্ঠান। তাদের দেয়া প্রার্থীরাই নির্বাচনে অংশ নিতে পারে। গার্ডিয়ানের সিদ্ধান্তের বাইরে নির্বাচন করতে পারে না।
এবারের নির্বাচনে অংশ নিতে ১৬০০ প্রার্থী নাম নিবন্ধন করেছিলেন। কিন্তু গার্ডিয়ান কাউন্সিল মাত্র ৬ জনকে অংশ নিতে অনুমোদন দিয়েছে। আগামী ১৯ মে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে ঘোষণা করা হয়েছে।
মন্তব্য চালু নেই