নিজ ঘরে স্বামী-স্ত্রীর রক্তাক্ত লাশ

বরিশার নগরীর কাউনিয়ার ভাড়া বাসা থেকে স্বামী-স্ত্রীর রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এরা হলেন রাজমিস্ত্রী মো. খালেক ঢালী (৪২) ও তার স্ত্রী আদালতের আইনজীবীর সহকারী মুকুল বেগম (২৬)।

কাউনিয়ার প্রথম লেনের ছত্তার ম্যানশন থেকে মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে লাশ দুটি উদ্ধার করা হয়।

ছত্তার ম্যানশনের ভাড়াটিয়া মাধবী বসু জানান, ৭ বছর আগে মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার শ্রীপুর গ্রামের খালেক ঢালী এবং বরিশাল শহরতলীর সাপানিয়া গ্রামের আমিনউদ্দিন হাওলাদারের মেয়ে মুকুল বেগমের বিয়ে হয়। ২০১২ সালের মার্চ মাস থেকে ছত্তার ম্যানসনের টিনের একচালা ঘর ভাড়া নিয়ে থাকতেন এ দম্পত্তি। বিয়ে ৭ বছর আগে হলেও সন্তান না হওয়ায় প্রায়ই তাদের কলহ হতো।

মাধবী বসু আরও জানান, সোমবার বিকেল সাড়ে ৪টায় সর্বশেষ এ দম্পত্তি ভাত খাওয়ার সময় কথা হয় তার সঙ্গে। এর পর সকাল সাড়ে ৮টায় সাপ্লাইয়ের পানি নেওয়ার সময় ফুরিয়ে যাচ্ছে বলে মুকুল বেগমকে ডাকতে যান তিনি। দরজা ও জানালায় ডাকাডাকি করলেও সাড়া মেলেনি। এর পর বাড়ির অপর ভাড়াটিয়া ও এলাকার লোকজন জড়ো হয়ে বেড়ার টিন সরিয়ে ফ্যানের সঙ্গে খালেক ঢালীর ঝুলন্ত মৃতদেহ দেখতে পান। এর পরই স্থানীয় কাউন্সিলর এসে পুলিশে খবর দিলে কাউনিয়া থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে।

কাউনিয়া থানার সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) এ এইচ এনায়েত করিম বলেন, ‘খালেক ঢালীর গলায় আঘাতের চিহ্ন এবং শরীর রক্তাক্ত জখম রয়েছে। আর মুকুল বেগমের মৃতদেহ মশারির মধ্যে, তবে পা দুটো বাইরে রয়েছে। এটি হত্যা না আত্মহত্যা তদন্ত না করে কিছু বলা যাচ্ছে না। তবে প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কলহ থেকে এ ঘটনা ঘটতে পারে।’

তিনি জানান, তারা সিআইডির বিশেষ টিমকে খবর দিয়েছেন। তারা দেখার পর ময়নাতদন্তের জন্য মৃতদেহ শেরে বাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় (শেবাচিম) হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হবে। এর পরই আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবেন তারা।



মন্তব্য চালু নেই