নিউইয়র্কের কমিউনিটি লিডারস প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশি মেয়ে রূপন্তী
রূপন্তী ওয়াজিদ। নিউইয়র্কের কুইন্স বুলেভাডের আইএস-৫ স্কুলের এইট (৮ম) গ্রেডের ছাত্রী। এর আগে কয়েকবার বিভিন্ন ক্লাসে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছিল সে।
আর সেই দক্ষতায় এখন প্রত্যক্ষ ভোটে রূপন্তী নির্বাচিত হয়েছে স্কুল কমিউনিটি লিডারস প্রেসিডেন্ট। পড়াশোনার পাশাপাশি এখন তাকে ব্যস্ত থাকতে হয় বিভিন্ন স্কুলের ক্লাস প্রেসিডেন্টদের সঙ্গে বৈঠক নিয়ে। তাদের সঙ্গে স্কুলের শিক্ষা ও উন্নয়ন বিষয়ক নানান আলোচনাও করতে হয় তাকে।
রূপন্তী ওয়াজিদই প্রথম বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত শিক্ষার্থী যে ‘কমিউনিটি লিডারস প্রেসিডেন্ট’ নির্বাচিত হলো। বিপুল ভোটের ব্যবধানে প্রতিদ্বন্দ্বী একজন হোয়াইট আমেরিকানকে হারিয়ে রূপন্তী এই পদে বিজয়ী হয়। গত ৭ জানুয়ারির এই নির্বাচনে জয়ী হবার পর সে কয়েকটি স্কুলের ক্লাস প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠকও করেছে। তার এই সাফল্যে খুশি স্কুলের শিক্ষকেরাও।
এদিকে নির্বাচনের আগে অনুষ্ঠিত এক ডিবেটে সর্বোচ্চ স্কোরের অধিকারী হয়েছে রূপন্তী ওয়াজিদ। হাউজ অব কংগ্রেসের আদলে অনুষ্ঠিত এই ডিবেটে রূপন্তী হিলারি ক্লিনটনের ভূমিকা পালন করে। তার স্লোগান ‘লিভ এ লিগেসি এট আইএস-৫, নোয়িং দ্যাট উই আর অন আওয়ার ওয়ে টু গ্রেটনেস’ দারুণ প্রশংসিত হয়।
রূপন্তীর বাবা-মা দুজনই কমিউনিটির পরিচিত মুখ। বাবা মীর-ই ওয়াজিদ শিবলী পেশায় একজন সাংবাদিক এবং নিউইয়র্কের বাংলা টিভির মহাপরিচালক। তার মা শারমিন রেজা ইভা সিটির বিশেষায়িত স্কুলের শিক্ষক এবং স্বনামধন্য টিভি উপস্থাপিকা। একমাত্র সন্তানের এই সাফল্যে দারুণ খুশী তারা।
মীর শিবলী বলেন, রূপন্তী আমাদের একমাত্র সন্তান। লেখাপড়ায় সে বরাবরই ভালো করছে। পাশাপাশি সে স্কুলে কয়েকবার ক্লাস প্রেসিডেন্ট ছিল। স্কুলের এই গুণ্ডির বাইরেও সে নিয়মিত নাচ, গান, আবৃত্তি চর্চার পাশাপাশি টিভি হোস্টিং করছে।
মীর শিবলী বলেন, রূপন্তীর এই অগ্রযাত্রা ভবিষ্যৎ মূলধারার রাজনীতিতে নেতৃত্ব দিতে সহায়তা করবে। তিনি বলেন, রূপন্তীর প্রবল ইচ্ছা জনসেবা করা। তার মায়েরও ইচ্ছা ছিল জনসেবায় আত্মনিয়োগ করা। কিন্তু জীবনের বাস্তবতায় সেই স্বপ্ন এখনো পূরণ হয়নি। তাই মায়ের সেই স্বপ্ন পূরণে এখন থেকেই নিজেকে প্রস্তুত করছে রূপন্তী।
মন্তব্য চালু নেই